নিজম্ব প্রতিনিধি : পাবনার বেড়ায় রাতের আধারে ঈদের বাজার ও নগদ টাকা নিয়ে অসহায় এক দরিদ্র পরিবারের পাশে বেড়া মডেল থানার ওসি অরবিন্দ সরকার । সারাবিশ্ব এখন থমকে গেছে করোনা আতঙ্কে । বাংলাদেশেও যখন করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশে জনজীবন স্থবির। তখন অসহায় নিরীহ শ্রমিকদের পরিবার ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে চলছে হাহাকার । সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পর্যায়েও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পিছিয়ে নেই বেড়া মডেল থানা ওসি অরবিন্দ সরকার ।
বেড়া থানার বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা কারো কাছে মুখ দিয়ে কোন কিছু বলতে পারছেন না, মধ্যবিত্ত লোকজনদের খুজে বের করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার । রাতের আধাঁরে মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি পরিনত হয়েছেন মানবিক ওসি হিসেবে, অপরাধ দমনেও বেশ সুনাম রয়েছে অরবিন্দ সরকারের ।
বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বিডি২৪ভিউজ কে বলেন বেড়ার দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বেড়া উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক উজ্জ্বল হোসাইনের ফেসবুকে একটি মানবিক পোষ্ট দেখে রাত পোহালে ঈদ ঘরে নেই খাবার ! বিষয়টি আমার নজরে আসলে সাংবাদিকের কাছ থেকে দরিদ্র পরিবারটির ঠিকানা সংগ্রহ করি । পরে রাত ১ টার সময় নিজে ঈদের যাবতীয় বাজার করে তাদের ঘরে পৌঁছে দেই । তিনি আরো বলেন , করোনাভাইরাসে সরকারের দেওয়া ছুটিতে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে মধ্যবিত্তরা। যারা সবাইকে এসে বলতে পারবে না , তাই আমি নিজ উদ্যোগে তাদের খোঁজ করে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি বা নিয়ে যাচ্ছি। এগুলো কোন ত্রাণ নয় এগুলো উপহার। কারনে না খেয়ে থাকলে নিজের পেটে খাবার ঢুকবে না, তাই যতটুকু পারি মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি মাত্র ।
বৃশালিখা গ্রামের নান্নু হাতিগাড়া গ্রামের আফতাব বিডি২৪ভিউজ কে বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র শ্রমিক সারা দিন অন্যের বাজার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে সারা দিনে মাত্র ২৩৪ টাকা রোজগার করেছিলাম যা দিয়ে ঈদের সামান্য বাজার হবে না তাই রাতে বাড়িতে যায় নি, বাজারে ছিলাম কোন মুখ নিয়ে বউ ও সন্তানের সামনে যাব, পরে খবর পেলাম বেড়া মডেল থানার ওসি ঈদ সামগ্রী ও নগদ টাকা বাড়ি পৌঁছে দিছে এতে আমার পরিবারের সবায় কে নিয়ে বেশ আনন্দে ঈদ যাপন করছি। আমি ওসি সাহেবের কাছে কৃতজ্ঞ, তার মত ওসি যদি সারাদেশে থাকত তাহলে না থাকত না ।