বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টিকা কার্যক্রম আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে দেশের প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে কঠোরভাবে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় তিনি এই নির্দেশ দেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সভার বিস্তারিত তুলে ধরেন। সোমবারের সভায় কোনো প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছিল। প্রস্তাবটি অনুমোদন না হওয়ায় বড় অপরাধে তাদের পেনশন আটকে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশে যেসব বয়স্ক লোক রয়েছেন, বিশেষ করে তাদের জন্য দ্রম্নত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। এতে টিকার সংকট হবে না।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী অবসর গ্রহণ করলেও যদি তার কোনো দুর্নীতি থাকে বা তার কারণে সরকারের কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে আগের আইনে তার পেনশন থেকে পুরোটা বা কিছুটা কেটে নেওয়ার বিধান ছিল। এটা যাতে না থাকে সেজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল, কিন্তু মন্ত্রিসভা তার অনুমোদন দেয়নি।
মন্ত্রিসভা আগেরটাই বহাল রেখে দিয়েছে। ফলে সরকারি কর্মচারীরা অবসরে গেলে কোনো অসদাচরণ করলে তা থেকে দায়মুক্তি পাবে না। তাই আগের বিধানে অসদাচরণে অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিক বাতিল করার নিয়ম বহাল থাকছে।’ এই আইনের ৫১ ধারায় উলেস্নখ করা আছে, অবসর সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি গুরুতর অপরাধে দন্ডপ্রাপ্ত বা কোনো গুরুতর অসদাচরণের দোষে দোষী সাব্যস্ত হলে কারণ দর্শায়ে বা যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়ে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করিতে পারিবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আরেকটি সংশোধন আনা হয়েছিল। সরকারি কর্মচারী পিআরএলে থাকাবস্থায় বিদেশ যেতে হলে বা অন্য কোথাও চাকরি করার জন্য সরকারের অনুমোদন নিতে হবে এ সংক্রান্ত একটা বিষয়ও ছিল। মন্ত্রিপরিষদ এটাতেও রাজি হয়নি। এলপিআরটা সার্ভিসের মধ্যে ছিল। আগে যেটা ছিল সেটাই থাকছে। তবে সরকার কারও বিষয়ে স্পেসিফিক অর্ডার দেয় সেটা কার্যকর হবে। তবে আগের আইনে কিছু ভুল ছিল, সংশোধিত আইনে সেগুলো ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।