বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত মোবাইল ডাটা কেটে না নিয়ে পরবর্তীতে কেনা ডাটা প্যাকেজের সঙ্গে ফেরত দিতে অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেছেন, ‘এটা তারা আগে ফেরত দিত। আমি নিজেও এই ডাটা ফেরত পেয়েছি। এখন কেন দেয় না এটা বরং আমার তাদের কাছে প্রশ্ন।’
সোমবার ২রা আগস্ট দেশের মোবাইল অপারেটরদের কার্যক্রম তদারকি করতে যন্ত্রপাতি কেনা সংক্রান্ত এক চুক্তি শেষে টেলিফোনে জাগো নিউজকে একথা বলেন তিনি। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এজন্য কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান টিকেসি টেলিকমের সঙ্গে চুক্তি করেছে বিটিআরসি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘একই সাথে আমি এটাও উত্থাপন করেছি; আজেবাজে মেয়াদ দিয়ে প্যাকেজগুলো করা হয়, সেগুলো যাতে করা না হয়। তার সাথে এটাও যোগ করেছি, তাদের কল ড্রপের যাতে টাকা ফেরত দেয়। এসব যুক্তিসঙ্গতভাবে ভোক্তার অধিকার। সুতরাং ভোক্তাকে সেই অধিকার দিতে হবে। কারণ, একতরফা প্রফিট করার জন্য কাউকে লাইসেন্স দেয়া যায় না।’
এর আগে গত ৩১ জুলাই করোনা মহামারির মধ্যে ঘরে বসে থাকা আয়-রোজগারহীন গ্রাহকের অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে মুঠোফোনভিত্তিক ইন্টারনেট ডাটা ও টকটাইমের মারপ্যাঁচ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘টাকা দিয়ে ডাটা বা টকটাইম কেনার পরে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডাটা ও টকটাইম পরবর্তী রিচার্জের সময় পাওয়া যাচ্ছে না কেন? হিসাবটা খুবই সহজ। উত্তর খুবই সহজ, অব্যবহৃত এমবি দিয়ে বিভিন্ন প্যাকেজ তৈরি করে পুনরায় বিক্রি করা হয়েছে গ্রাহকদের কাছে।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন বক্তব্য দেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এতে সভাপতিত্ব করেন। সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাগত বক্তব্য দেন।