বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী কারিনা গুল্ড দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব জোরদার করার ঘোষণা দিয়ে তার তিনদিনের ভার্চুয়াল বাংলাদেশ সফর শেষ করেছেন। শুক্রবার ঢাকায় কানাডিয়ান হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার বরাত দিয়ে বলা হয়, এটি ছিল আমার প্রথম বাংলাদেশ সফর এবং যদিও এটি ভার্চুয়াল ছিল, তবুও আমি তাদের (স্থানীয় জনগণ) প্রাণোচ্ছলতা এবং বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। খবর বাসসর।
তিনি বলেন, কানাডা রোহিঙ্গাদের এবং এখানে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী জনগণের চাহিদা মেটানোর জন্য সহায়তা প্রদান করাসহ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, এই কারণেই আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি, জলবায়ুু পরিবর্তন এবং অব্যাহত রোহিঙ্গা সঙ্কট চ্যালেঞ্জের মধ্যে বিশেষ করে কঠিন এ মুহূর্তে ভার্চুয়াল সফর করা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ সফরকালে কানাডার মন্ত্রী বাংলাদেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অবদানের কথা ঘোষণা করেন। তিনি ৪৫ মিলিয়ন ডলার অনুদানের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ব্র্যাকের কৌশলগত অংশীদারিত্ব ব্যবস্থায় যোগদান এবং ‘কক্সবাজারে মানসম্পন্ন শিক্ষা জোরদার করার’ জন্য ইউনিসেফকে অতিরিক্ত কানাডিয়ান অর্থায়নে ২ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেন।
কানাডার মন্ত্রী সুশীল সমাজ, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশে তাদের কাজ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয় দাতা সম্প্রদায় এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সাড়া প্রদানে কানাডার সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। কানাডার মন্ত্রী এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় তিনি স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত উত্তরণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং কোভ্যাক্স টিকাদান কর্মসূচীতে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তির জন্য কানাডার প্রশংসা ব্যক্ত করেন। দুইমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ঘটনার জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করতে তাদের অভিন্ন আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। তারা মহামারী এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত তাদের অগ্রাধিকারগুলোর বিষয়ে মতবিনিময় করেন। গত ১২ আগস্ট তার সফর শেষ হয় মহাখালীর ভাসানটেক বস্তিতে অনুষ্ঠিত একটি লাইভ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। কানাডা এখানে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কার্যক্রম এবং শহরের দরিদ্রদের জন্য দক্ষতা প্রশিক্ষণ সহায়তা করছে।