বিডি২৪ ভিউজ ডেস্ক : ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে কোনো ব্যক্তি বাসা থেকে নিখোঁজ হলে বা এ সংক্রান্ত জিডি হলে তা ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
বুধবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সিটিটিসি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবিলায় কাজ করে থাকে। অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়। জুন ও জুলাই মাসের অস্ত্র, মাদক, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন বিষয়ে পুরষ্কার দেন কমিশনার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এএফএম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) একেএম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
সভা সূত্র জানায়, আফগানিস্তানে তালেবানদের ক্ষমতা দখল ও বাংলাদেশিদের সেখানে যাওয়ার বিষয়ে যে আলোচনা রয়েছে সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই নিখোঁজদের বিষয়ে এমন নির্দেশনা আসে। এক্ষেত্রে পরিবার বা যে কোনো পর্যায় থেকে নিখোঁজের তথ্য পাওয়া গেলে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। যদি কারও বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়, তারা যদি দেশে ফিরে সেক্ষেত্রে তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। সর্বোপরি উগ্রবাদ দমনে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয় বৈঠকে।
এ ছাড়া লকডাউন না থাকায় অপরাধ তৎপরতা যাতে না বাড়ে সেই বিষয়ে নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার। বাড়াতে বলা হয় গোয়েন্দা নজরদারি। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, দেশে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা যাতে অবনতি না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। ঢাকা শহরের অপরাধ প্রতিরোধে সবাইকে আরও নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
এদিকে জুন মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ। নয়টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ। আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। এ ছাড়া জুলাই মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ। গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। আর ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ।