বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দেশের পুঁজিবাজারে যে চাঙ্গাভাব দেখা যাচ্ছে, তা অর্থনীতি ভালো থাকার ইঙ্গিত বহন করে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার মতে দেশের অর্থনীতি ভালো থাকলে, পুঁজিবাজারের অবস্থাও চাঙ্গা থাকে। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক দুটি অনুষ্ঠিত হয়। শেয়ারবাজারে দুর্বল কোম্পানির মূল্য অনেক বেড়ে যাচ্ছে, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিষয়টি দেখবেন। পুঁজিবাজারের যে মৌলিক বিষয় সেটি হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।
দেশের অর্থনীতি যখন ভালো হবে, পুঁজিবাজারের অবস্থাও চাঙ্গা থাকবে। ব্যাংকিং খাত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন ব্যাংক সেক্টর একটি ভালো অবস্থানে আসছে। আগে সরকারি ব্যাংকগুলো সরকার থেকে টাকা নিয়ে রিফাইন্যান্সিং করে চলত। গত দুই-তিন বছর থেকে এর পরিবর্তন হয়েছে। এখন রিফান্ডিং করার কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকারি ব্যাংকগুলোকে সুস্পষ্টভাবে আমরা বলে দিয়েছি আপনাদের আয় করেই ব্যয় করতে হবে। সেটিও তারা করে যাচ্ছে। সুতরাং সরকারি ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংক সবাই একটু ভালো অবস্থানে আছে। আমরা ব্যাংকের সুদ হার কমিয়েছি। ব্যাংকগুলোর ধারণা ছিল তাদের আয় কমে যাবে, ব্যয় বেড়ে যাবে ইত্যাদি। এগুলো বাস্তবে হয়নি। মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে ব্যাংকের সুদ হার কম এমন বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মতো মূল্যস্ফীতির হার খুব কম দেশে পাওয়া যাবে। বিশ্বের অনেক দেশে ব্যাংকে টাকা রাখলে সুদ পাওয়া যায় না বরং টাকা রাখলে উলটো ব্যয় করতে হয়। এজন্য আমাদের দেশের লোকজন যারা বিদেশে আছেন তারা অফিশিয়াল ব্যবসা করলে বিদেশে টাকা রেখে কিছু পান না। দেশে টাকা এনে বিনিয়োগ করে তারাও লাভবান হতে পারেন।
গতকাল অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে একটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে আটটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ‘ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা’ এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় কার্যক্রম, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম কার্যক্রম পরিচালনা এবং এক্সপ্রেসওয়ের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সার্ভিস প্রভাইডার হিসেবে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে নিয়োগের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এই টোল আদায় করা হবে। গাড়ির সামনের যে উইন্ড স্ক্রিন, সেখানে একটা স্টিকারের মতো থাকবে। গাড়িটি যখন যাবে তখন স্ক্যান করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে টোল আদায় হয়ে যাবে। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ভাঙ্গা পর্যন্ত তিনটি ব্রিজ রয়েছে। সব টোল সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে আদায় হবে। এ বিষয়ে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানটির অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রথমে পাঁচ বছরের জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। পরে চুক্তির মেয়াদ আরো বাড়ানো হতে পারে।