বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে নীলফামারীর ডোমারে প্রতি বছরের মতো এ বছরও (২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও ফিশারিজ কোয়ারেন্টিন কর্মকর্তা আংগুরী বেগম বলেন, মৎস্য খাত সরকারের একটি অন্যতম অগ্রাধিকারভুক্ত খাত। বৈশ্বিক মহামারিজনিত প্রতিকূল পরিবেশে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ খাতে পরিকল্পিত উন্নয়ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে প্রথম।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ আহরণে বাংলাদেশ তৃতীয়, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ এবং বদ্ধ জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে পঞ্চম। তেলাপিয়া উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ এবং এশিয়ার মধ্যে তৃতীয়। পাশাপাশি বিশ্বে সামুদ্রিক ও উপকূলীয় ক্রাস্টাশিয়া ও ফিনফিস উৎপাদনে যথাক্রমে ৮ম ও ১২তম স্থান অধিকার করেছে। তৈরি পোশাক শিল্পের পরই মৎস্য থেকে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আমিষের ৬০ শতাংশ জোগান দেয় মাছ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যেমাত্রা ছিল ৪৩.৪১ লাখ মেট্রিক টন। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে অন্যতম ভূমিকা ইলিশ মাছের। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন।
তিনি বলেন, গত বছরও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০২০ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মাছ আহরণে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। বিশ শতকজুড়ে পরিবেশগত নানা আন্দোলন ও সম্মেলনে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে একের পর এক পরিবেশবান্ধব মডেল। এসব মডেলের মধ্যে গ্রিন ইকোনমি বা সবুজ অর্থনীতি মডেল ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ডোমার প্রেস ক্লাবের সভাপতি আসাদুজ্জামান চয়ন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক মাসুম, অর্থ সম্পাদক রবিউল হক রতন, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের আহবায়ক জাবেদুল ইসলাম সানবীম, সদস্য সচিব নুর কাদের ইমরানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা।