বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : গত কয়েক বছর ধরে সরকার প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদের চেয়ে বেশি পদোন্নতি দিয়ে আসছে। যা নিয়ে সরকারকে সমালোচনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে কর্মকর্তারা যেসব পদে কাজ করছেন সেগুলোকে সাংগঠনিক কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কর্মকর্তাদের পদের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রয়োজনে অনুবিভাগ, অধিশাখা ও শাখা বাড়ানো হবে। দপ্তর বা অধিদপ্তরে প্রেষণযোগ্য যেসব পদে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা নিয়োগ পান সেগুলোতেও পরিবর্তন আসছে।
গত মঙ্গলবার এ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজম। প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বা গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা এ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে ২৫টি মন্ত্রণালয় তাদের পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন। সিনিয়র সহকারী সচিব, উপসচিব, যুগ্ম সচিব এবং অতিরিক্ত সচিবের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ও কর্মরত কর্মকর্তার সংখ্যা পাশাপাশি উপস্থাপন করা হয়। সেখানে সব মন্ত্রণালয়ের এন্ট্রি পদ বা কর্মজীবন শুরুর পদে কর্মকর্তার সংখ্যা অনুমোদিত পদের চেয়ে অনেক কম। আর উল্টো অবস্থা ওপরের দিকের পদের। অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপসচিব পদে কর্মরত কর্মকর্তার সংখ্যা অনেক বেশি। এতে প্রশাসনের চিরচেনা পিরামিড আকৃতিতে ধস নেমেছে। স্বাভাবিক কাজের গতি হারিয়েছে মাথাভারী প্রশাসন। পদের চেয়ে কর্মকর্তা বেশি হওয়ায় তারাও নিজেদের পদোন্নতি ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকছেন। স্বাভাবিক নিয়মে পদোন্নতির আশা ছেড়ে দিয়ে তারা ঘুরছেন রাজনীতিবিদ বা প্রভাবশালী আমলার পেছনে।
সাংগঠনিক কাঠামো ঠিক না থাকায় দেশে অকার্যকর প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বেশি। দেশের ৯৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামো যথাযথ নয় বলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। তাদের মতে, এ কারণেই কোনো প্রতিষ্ঠান কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এতে পাবলিক মানি বা জনগণের টাকার অপচয় হচ্ছে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাংগঠনিক কাঠামো হালনাগাদ করার কাজটি নির্মোহভাবে করতে হবে। তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। যদি কর্মকর্তাদের পদোন্নতির পথ সুগম করার জন্য কাঠামো সংস্কার করা হয় তাহলে সেটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দপ্তর ধ্বংসের কারণ হবে। প্রশাসনে এনাম কমিটির পর উল্লেখযোগ্য কোনো সংস্কার হয়নি। অথচ এর মধ্যে প্রশাসনে আমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক পদ সৃষ্টি করতে হবে। আর সরকারকে অনেক বেশি মামলা-মোকদ্দমা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এ কারণে প্রতিটি মন্ত্রণালয়েই আইনবিষয়ক উইং সৃষ্টি করা জরুরি। আগে যেখানে একজন উপসচিবকে দিয়ে ল উইংয়ের কাজ হয়েছে সেখানে এখন একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একদল চৌকস অফিসার কাজ করছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করা দরকার। কর্মচারীদের সুবিধার দিকে না তাকিয়ে কাজটা করা দরকার মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের স্বার্থে। অপ্রয়োজনীয় পদ বাদ না দেওয়া হলে এবং প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি না করা হলে একটি প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হতে বাধ্য।’
বর্তমানে উপসচিবের ১ হাজার ৩২৪টি পদে কর্মরত আছেন ১ হাজার ৯৬২ জন কর্মকর্তা। যুগ্ম সচিবের ৫০২টি পদে ৬৮৫ জন এবং অতিরিক্ত সচিবের ২১২টি পদে ৪২০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগে অনুমোদিত অতিরিক্ত সচিবের পদ একটি, অথচ সেখানে কর্মরত আছেন সাতজন অতিরিক্ত সচিব। যুগ্ম সচিবের পাঁচটি অনুমোদিত পদে ১১ জন এবং উপসচিবের ১৬টি অনুমোদিত পদে ২৪ জন কর্মরত আছেন। অথচ মন্ত্রণালয়ে ক্যাডার কর্মকর্তাদের এন্ট্রি পদ সিনিয়র সহকারী সচিব পদে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম কর্মকর্তা কাজ করছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগে সিনিয়র সহকারী সচিবের অনুমোদিত পদ ৪০টি, এসব পদে কর্মরত আছেন মাত্র আটজন কর্মকর্তা।
সাংগঠনিক কাঠামো হালনাগাদ করার মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বৈধতা দেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি বৈধতা-অবৈধতার নয়। কারণ এসব পদ ইনসিটো বা সুপারনিউমারি পদ। সরকারের অনুমোদন নিয়েই সাময়িক সময়ের জন্য এসব পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সাংগঠনিক কাঠামো নিয়মিত হালনাগাদ করতে হয়। হালনাগাদ হলে আজ প্রশাসনের যে বেহাল দশা অর্থাৎ পদের অতিরিক্ত পদোন্নতিএটা হতো না। আসলে সবাই সাময়িক সময়ের জন্য কাজ করেছে। কেউ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেননি। কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিতে হবেকোনোরকমে ইনসিটো বা সুপারনিউমারি করে পদোন্নতি দিয়েছেন। কোনো সচিবই কাঠামো হালনাগাদ করেননি। বর্তমান সচিব দায়িত্ব নেওয়ার পরই এ সংস্কারে হাত দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় কাঠামো হালনাগাদের কাজটা কতটা নিরপেক্ষতা ও দক্ষতার সঙ্গে তিনি করতে পারেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ সাংগঠনিক কাঠামো হতে হবে সদূরপ্রসারী। আগামী ২০ বছর পর প্রশাসনের কী অবস্থা দাঁড়াবে তার পুরো চিত্র থাকতে হবে এখানে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে বর্তমানে কতজন কর্মকর্তা কাজ করছেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পদের চেয়ে অতিরিক্ত কর্মকর্তাদের কাজ কীসেটাও হালনাগাদে তুলে আনা হবে। শুধু মন্ত্রণালয় নয়, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বশাসিত সংস্থা, করপোরেশন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, কমিশন, বোর্ড, ফাউন্ডেশনের বিষয়গুলোও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। এসব সংস্থায় বিধি বা প্রবিধি অনুযায়ী প্রেষণে নিযুক্ত গ্রেড-১, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপসচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিবের প্রেষণ পদের তথ্যও এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব সংস্থায় যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয় সেখানেও কী পরিমাণ কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন এবং ভবিষ্যতে কত কর্মকর্তার প্রয়োজন হতে পারেএসব বিবেচনায় নিয়ে সাংগঠনিক কাঠামো হালনাগাদ করা হচ্ছে।
সাংগঠনিক কাঠামো কবে নাগাদ হালনাগাদের কাজ শেষ হবে জানতে চাইলে জনপ্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, এর জন্য কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় রাত-দিন কাজ করছে। গত শুক্র ও শনিবারও কয়েকটি মন্ত্রণালয় বিশেষ ব্যবস্থায় সাংগঠনিক কাঠামোর কাজ করেছে। গতকাল সোমবার সরকারি ছুটির দিনেও এ বিষয়ে কাজ করেছে মন্ত্রণালয়গুলো। কারণ প্রতিটি পদ কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে তার যুক্তি থাকতে হবে। সেগুলো লিখিত আকারে উপস্থাপন ও অনুমোদন করাতে হবে।
এদিকে যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এবার থেকেই পদের বিপরীতে পদোন্নতি হবে কি না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, এবারের পদোন্নতি থেকেই সেটা অনুসরণ করা সম্ভব নয়। কারণ নতুন কাঠামো অনুমোদন হতে কিছুটা সময় লাগবে। কয়েকটি দপ্তর আলাদাভাবে তাদের সাংগঠনিক কাঠামো হালনাগাদ করেছে। আরও কয়েকটি দপ্তর হালনাগাদ করছে। বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি, রেলওয়ে ও বার্কের কাঠামো সংশোধন করা হয়েছে। পিডিবির কাঠামোর সংশোধনীর কাজ চলছে। ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের কাঠামো সংশোধনীর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রেলওয়ের সাংগঠনিক কাঠামোতে জনবল ৮২ হাজার। পরিবর্তিত কাঠামোতে জনবল ৪৭ হাজারে নামিয়ে আনা হয়েছে। এমন কিছু পদ ছিল যেগুলোর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। রেলওয়েতে মহিষের গাড়িচালক পদ ছিল। সেই পদে এখন কেন লোক নিতে হবে? দেশের কোথাও মহিষের গাড়ি দিয়ে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের বা যাত্রীদের আনা-নেওয়া হয় না। বিভিন্ন দপ্তর-অধিদপ্তরে এমন অনেক পদ রয়েছে যেগুলোর কোনো ব্যবহার নেই। পদ থাকার কারণে প্রভাবশালী বা নীতিনির্ধারকরা লোক নিয়ে রেখেছেন। লোক নেওয়ার সময় তারা হয়তো অবৈধ সুবিধা পেয়েছেন।
অন্য এক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের প্রয়োজনেই তারা এ কাজে হাত দিয়েছেন। যখন তারা বুঝতে পারছেন পদের অতিরিক্ত আর পদোন্নতি নেওয়া যাচ্ছে না তখন তারা সংস্কারে হাত দিয়েছে, এর আগে তো দেননি। দুয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া পদ না থাকার পরও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরই পদোন্নতি হয়েছে। অন্যান্য ক্যাডারের বিষয় নিয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়েও গেছে বিভিন্ন ক্যাডাভিত্তিক ফোরামের নেতারা। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। অন্যান্য ক্যাডার বা নন-ক্যাডার পদের পদোন্নতির জন্য যে বোর্ড গঠন করা হয় সেখানে প্রায় সব কর্মকর্তাই থাকে প্রশাসন ক্যাডারের। তারা বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি পেলে অন্যান্য ক্যাডার বা নন-ক্যাডার পদে পদোন্নতি দেন না। অথচ তাদের পদোন্নতি ঠিকই হচ্ছে। এখানেও হয়তো দেখা যাবে বর্তমানে যেসব কর্মকর্তা কাজ করছেন সাংগঠনিক কাঠামোতে পদের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে আরও বেশি থাকবে। যেন ভবিষ্যতে তাদের পদোন্নতির পথ সুগম থাকে।
বিভিন্ন ক্যাডারভিত্তিক ফোরামের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য নতুন পদ সৃষ্টিতে যত সময় লাগে, তার চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদ সৃষ্টিতে। পদ সৃষ্টির কাজটি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, যা প্রশাসন ক্যাডারের প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়। কাজেই প্রশাসন ক্যাডারের কোনো পদ সৃষ্টির প্রস্তাব গেলে যত গুরুত্ব দেওয়া হয়, অন্য কোনো ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদ সৃষ্টিতে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
ক্যাডারভিত্তিক ফোরাম নেতাদের মতে, অন্যান্য ক্যাডারের পদ সৃষ্টিতেই শুধু দীর্ঘ সময় লাগে। জনপ্রশাসনের পদ সৃষ্টিতে বেশি সময় লাগে না। সংস্কারের অভাবে বিভিন্ন ক্যাডার দুর্বল হয়ে পড়ছে। ওই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অন্যান্য ক্যাডারের পদে ভাগ বসাচ্ছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
সব মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামো হালনাগাদকরণ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) মো. আনিছুর রহমান মিঞা দেশ রূপান্তরকে বলেন, বৈঠকের বিষয়ে জানতে হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের অনুমতি লাগবে। তিনি সিনিয়র সচিব আলী আজমের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। কিন্তু দপ্তরে গিয়ে সিনিয়র সচিবকে পাওয়া যায়নি। তার ফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
বিভিন্ন সময় প্রশাসনের সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিটি বা কমিশন গঠন করা হয়েছে। এসব কমিশন কমিটির সুপারিশ খুব অল্পই আমলে নিয়েছে বিভিন্ন সময়ের সরকার। এনাম কমিটির সুপারিশের আদলেই চলছে বর্তমান প্রশাসন। ১৯৮২ সালে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য এ সামরিক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রধান ব্রিগেডিয়ার এনামুল হক খানের নামানুসারে এ কমিটি এনাম কমিটি নামে পরিচিত। এ কমিটি ১৯৮৩ সালে প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করে। পরে ১৯৯৩ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার এম নুর-উন-নবী চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস কমিটি (এআরসি) প্রতিষ্ঠান ও জনবল কাঠামোর ব্যাপক পর্যালোচনা করে। এ কমিটি সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিবেদন তৈরি করে। বিশ্বব্যাংক গভর্নমেন্ট দ্যাট ওয়ার্কস শিরোনামে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দেশের দ্রুত আর্থসামাজিক অবস্থা নিশ্চিত করতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুপারিশ পেতে ১৯৯৭ সালে গঠন করা হয় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এ কমিশন ২০০০ সালে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে সুপারিশের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় আরও কিছু কমিশন বা কমিটি গঠন করা হয়। দফায় দফায় কমিশন বা কমিটি গঠন করে সুপারিশ নেওয়া হলেও এনাম কমিটির পর দৃশ্যত কোনো সংস্কার হয়নি প্রশাসনে।