মোঃ ফিরোজ ফরাজী, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) থেকে : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় ভূমিদস্যু-মামলাবাজ নারীর হাত থেকে ভিটেবাড়ি ও কৃষি জমি রক্ষার দাবি পাঁচ পরিবারের। এই দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে মানববন্ধন কর্মসূচি করা হয়। ‘চিহ্নত মামলাবাজ, ভূমিদস্যু পারুল বেগম ওরফে পারুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন’ লেখা সম্বলিত ব্যানারে বিরোধী কৃষি জমিতেই ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি হয়। এতে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। এসময় অংশগ্রহণকারীরা ‘আর কোন দাবি নাই, ভূমিদস্যু-মামলাবাজ পারুর বিচার চাই’ বলে শ্লোগান দিতে থাকে।
এই কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী মিরাজ মুন্সি, আব্দুল ছত্তার প্যাদা, ফরিদ মুন্সি, রানী বেগম, কামরুন নাহার ও রাহিমা বেগম প্রমুখ। তাদের অভিযোগ, ‘ছোটাবাইশদিয়া ইউনিয়নের তিল্লা মৌজায় পাঁচ পরিবারের এক শ’ বছরের ভোগ দখলীয় পিএস, আরএস, এসএ ও বিএস সূত্রে মালিকানাধীন ভিটেবাড়িসহ ১৫ একর ১৮ শতাংশ আবাদি কৃষি জমি দখলের চেষ্টা করে চলছে স্থানীয় ভূমিদস্যু ও মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত পারুল বেগম ওরফে পারু। এজন্য ভুক্তভোগী পরিবারকে হামলা-মামলার ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন পারু। এক মাস ধরে কৃষি জমির আমন চাষাবাদও বন্ধ করে রেখেছে সে।’ ভুক্তভোগীদের দাবি, এরআগেও জমিজমা বিরোধে পারু এলাকার অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং জেল খাটিয়ে নিঃস্ব করে দেওয়ার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। তার দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তাই এ হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সহায়তা চাইছেন তারা।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত পারুল বেগম (পারু) বলেন, ‘তারা কাগজপত্র দলিল দেখাইতে পারে না। থানা থেকে এক মাস সময় নিছে কাগজ আনার জন্য, আনতে পারে না। আমি কি মাইর করছি, মাঠে গেছি? অথচ আমার নামে মানববন্ধন করছে। আমি আইনগতভাবে বন্ধ করছি। সিএস-পিএস আমার দাদা আব্দুর রব কাজী ও ওনার বাবা আব্দুল কাজীর নামে রেকর্ড। আমি এতদিন কাগজপত্র পাইনি, এখন পেয়েছি। পটুয়াখালী আছি, আদালত করতেছি।’