বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাসের জন্য বিশেষায়িত লেন বা বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) হওয়ার কথা ছিল গাজীপুর থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত। কিন্তু বিমানবন্দরের পর একাধিক ফ্লাইওভারের কারণে বিআরটি লেনটি সীমিত রাখা হচ্ছে বিমানবন্দর পর্যন্ত। বিকল্প হিসেবে দুটি মেট্রোলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত করে বিআরটির যাত্রীদের ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন, ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম।
গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন বিআরটি করিডোরের ভৌত কাজের অগ্রগতি, সমস্যাবলি ও সম্ভাবনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বিআরটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমাদের একটা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় যে আমরা বিআরটি গাজীপুর থেকে বিমানবন্দরে এনে শেষ করে দেব। কিন্তু এর পর যাত্রীরা ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্যে কীভাবে যাবে। এ মুহূর্তে যেটা সম্ভব, সেটা হলো মেট্রোরেল লাইন ৬-এর (উড়ালপথে উত্তরা-মতিঝিল) সঙ্গে বিআরটির এক সংযোগ তৈরি করা।
উত্তরা হাউজবিল্ডিং থেকে দিয়াবাড়ির মেট্রোরেল লাইন কিন্তু খুব বেশি দূরে নয়। এখানে আমরা একটা শাটল সার্ভিস চালু করব। উত্তরায় মেট্রোরেলের তিনটা স্টেশন। এর মধ্যে উত্তরা সেন্টার স্টেশনটিকে বিশেষভাবে বানানো হচ্ছে। সেখানে যাত্রীদের সুযোগ সুবিধাও বেশি থাকবে। তাই আমরা পরিকল্পনা করছি, উত্তরা সেন্টার স্টেশন পর্যন্ত আমরা শাটল সার্ভিসটি নিয়ে যাব। সফিকুল ইসলাম বলেন, বিআরটির শেষ স্টেশনটি বিমানবন্দরে। আর এমআরটি লাইন-১-এর (পাতালপথে বিমানবন্দর-কমলাপুর) প্রথম স্টেশনটিও হচ্ছে
একই জায়গায়। বিআরটির স্টেশনটি উড়ালপথে। মেট্রোরেলেরটি মাটির নিচে। একই পয়েন্ট দিয়ে বিআরটি ও এমআরটি স্টেশনে প্রবেশ ও বের হতে হবে। তাই সহজেই বিআরটি থেকে নেমে যাত্রীরা এমআরটি ওয়ান ব্যবহার করে কমলাপুর পর্যন্ত যেতে পারবেন। এখানে কোনো শাটল সার্ভিসেরও প্রয়োজন হবে না।
প্রকল্পের অগ্রগতির বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ২০১২ সালে একনেকে অনুমোদিত হয় বিআরটি প্রকল্প। ডিজাইন ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তুত, পরামর্শক নিয়োগ, বিস্তারিত নকশা তৈরি ও অনুমোদন, দরপত্রের নথিপত্র তৈরি, মূল্যায়ন ও পরিকল্পনাসহ আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করে পূর্ত কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৬২ শতাংশ। বর্তমানে যেভাবে নির্মাণকাজ এগোচ্ছে তাতে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের প্রথম বিআরটি লেন চালু করা সম্ভব হবে।
এ সময় ঢাকা বিআরটি কোম্পানির আওতায় বাস ও আইটিএস ক্রয়, বিজনেস মডেল প্রণয়ন, বিআরটি সার্ভিস পরিচালনা ও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন অপারেটর নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানান তিনি।