বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : আগামী ১ অক্টোবর থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি ও উত্তরায় ফের চক্রাকার বাসসেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজউক অ্যাভিনিউতে বিআরটিসি কার্যালয়ে জাগো নিউজকে তিনি এ তথ্য জানান।
২০১৯ সালের ২৪ মার্চ ধানমন্ডি-নিউমার্কেট-আজিমপুর রুটে চক্রাকার বাসসেবা চালু করেছিল বিআরটিসি। এর দুই মাস পর উত্তরায় চক্রাকার বাসসেবা চালু হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে দেড় বছরের বেশি সময় এ সেবা বন্ধ ছিল। পরে গত ১১ সেপ্টেম্বর ‘দুই বছর না যেতেই চক্রাকার বাসসেবা গুটিয়ে নিলো বিআরটিসি’ শিরোনামে জাগো নিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
ফের চক্রাকার বাস চালুর বিষয়ে বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের নিরাপদ এবং আরামদায়ক যাতায়াত নিশ্চিত করতে ওই দুটি এলাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) চক্রাকার বাসসেবা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ সেবা বন্ধ ছিল। এখন স্কুল-কলেজ চালু হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, আগামী ১ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ও খুলে দেয়া হবে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ পরিবহনটা বেশি ব্যবহার করে। সুতরাং সে ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চক্রাকার বাসসেবা চালু করা হবে।
তিনি বলেন, ধানমন্ডি এবং উত্তরায় বাসসেবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এতোদিন চক্রাকার বাস বন্ধ ছিল। এখন ক্রমান্বয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছে, আমরা আমাদের চাহিদার ভিত্তিতে এ সেবা চালু করবো।
দুই বছর আগে পুরান ঢাকা এবং খিলগাঁও এলাকায় চক্রাকার বাসসেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছিল বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। এখন এ দুটি এলাকায় চক্রাকার বাস চালু করতে বিআরটিসি উদ্যোগ নেবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, আগামী ৫ অক্টোবর বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভা রয়েছে। এ কমিটিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস রয়েছেন। সভায় যদি বিষয়টি উত্থাপন হয় ও আমাদের বাসের সংখ্যা, চাহিদা এবং সক্ষমতা থাকে তাহলে পুরান ঢাকা এবং খিলগাঁওয়ে চক্রাকার বাস চালু করবো।
তিনি বলেন, বিআরটিসিকে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বলা যেতে পারে। যেহেতু এটি একটি করপোরেশন। এ সংস্থাটি নিজস্ব আয়ে চলে। আমার বেতনও এ সংস্থা থেকে দেওয়া হয়। সুতরাং আয় বৃদ্ধি, ব্যয় সংকোচন এবং যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন আমাদের লক্ষ্য। আমাদের লাভ করতে হবে, যাত্রীসেবার মানও বাড়াতে হবে। সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।