বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : কর্ণফুলী নদীর বুক ভেদ করে স্বপ্ন পূরণের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম টানেল। নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে বাস্তবিক রূপ পাচ্ছে এ মেগা প্রকল্প। কয়েক দিনের মধ্যেই শেষ হবে নদীর তলদেশের দ্বিতীয় টিউবের খননকাজ। এরই মধ্যে কর্ণফুলী টানেলের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭২ শতাংশ। কাজের এ ধারা অব্যাহত থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ। কর্ণফুলী টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রত্যাশিত গতিতেই চলছে টানেলের কাজ। এখন পর্যন্ত সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭২ শতাংশ। দ্বিতীয় টিউবের খননকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ১৫ দিনের মধ্যে খনন কাজ শেষ করার প্রত্যাশা করছি।’
জানা যায়, কর্ণফুলীর নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেল তৈরির কাজ চলছে প্রত্যাশিত গতিতে। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও প্রায় শেষ হওয়ার পথে দ্বিতীয় টিউবের খননকাজ। ২ হাজার ৪৫০ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় টিউবটির খনন হয়েছে ২ হাজার ৫ মিটার। কাজের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ১৫ দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় টিউবের খননকাজ শেষ হবে। এর আগে খনন শেষ হওয়া প্রথম টিউবের সড়ক তৈরির কাজ চলছে স্বাভাবিক গতিতে। প্রথম টিউবের ২ হাজার ৪৫০ মিটারের মধ্যে ১ হাজার ৫০০ মিটারে বসেছে স্লাব। এ ছাড়া প্রথম টিউবের সড়কে বাতি ও অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজও চলছে স্বাভাবিক গতিতে। টানেলের দুই প্রান্তের সংযোগ সড়ক, সংযোগ সড়কের ওভারব্রিজের কাজ এগিয়ে চলছে। টানেলের সংযোগ সড়ক থেকে শিকলবাহা ওয়াই জংশন পর্যন্ত ছয় লেনের কাজ চলছে প্রত্যাশিত গতিতে।
চীনের সাংহাই নগরীর মতো চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারাকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’-এর আদলে কর্ণফুলী নদীতে তৈরি হচ্ছে টানেল। মেগা এ প্রকল্পের এক প্রান্তে রয়েছে চট্টগ্রাম নগরী, বিমান ও সমুদ্রবন্দর। অপর প্রান্তে আনোয়ারার ভারী শিল্প এলাকা। বিভক্ত দুই অংশকে সাংহাইয়ের আদলে একই সুতোয় যুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বাংলাদেশ সরকার ও চায়নিজ এক্সিম ব্যাংক এ প্রকল্পে যৌথ অর্থায়ন করছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এটি পুরোদমে চালু হলে প্রতি বছর প্রায় ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি পুরোদমে চালু হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম তথা দেশের অর্থনীতি। বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে শিল্প-কারখানা ও পর্যটনশিল্পে।