বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন রুট ব্যবহার করে ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য প্রবেশ করছে। এসব রুটের বিষয়ে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো ও বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। রুটগুলো বন্ধ করতে দুই দেশের মধ্যে তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ মিলে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চলছে।
ভারতও এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)ও ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর মহাপরিচালক পর্যায়ে ৭ম দ্বিপাক্ষিক ভার্চুয়াল সভা বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে মাদক পাচারের নতুন নতুন রুট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের কিছু তথ্য দিয়েছি, তারাও কিছু তথ্য দিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত থাকায় উভয় দেশ আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্ব বহন করে। আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য দুই দেশই ভূমিকা রাখবে। ইয়াবা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ভারতের কিছু অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার হয়। সেটিও ভারতকে অবহিত করা হয়েছে। সম্প্রতি মাদক পাচারে সমুদ্র পথ ব্যবহার করা হচ্ছে, গুরুত্ব দিয়ে এটা আলোচনা করা হয়েছে। সমুদ্রপথে ইয়াবা পাচার বেড়েছে। কারণ স্থলপথগুলোতে কড়াকড়িতে হয়তো সমুদ্র পথে আসছে। ইয়াবার তুলনায় আইস আরও বেশি তীব্র আকার ধারণ করেছে, এ বিষয়ে উভয় দেশ তৎপর রয়েছে। বিগত কয়েকটি সম্মেলনে ভারতের সীমান্তে থাকা ফেনসিডিল কারখানার তালিকা দিয়েছিল বাংলাদেশ। তালিকা অনুযায়ী যেসব কারখানা পাওয়া গেছে, ভারত সরকার সেগুলো ধ্বংস করেছে বলে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে।
ডিএনসি ডিজি আরও বলেন, আমাদের সমস্যাগুলো ভারতকে বলেছি। তারা সীমান্তের অনেক ফেনসিডিল কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে মাদক সমস্যা সমাধানে অগ্রসর হতে হবে। ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ মিলে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। তবে মাদক চোরাচালান বন্ধে ভারতের উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেন ডিএনসি ডিজি আব্দুস সবুর মণ্ডল।