রিজাউল করিম সাতক্ষীরা : ঘরবাড়ি হারিয়ে নৌকার উপর সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন সাতক্ষীরার উপকুলীয় এলাকার ইয়াকুব আলী। খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত গোটা এলাকা। ভাঙনের কবলে ঘরবাড়িও বিলীন হয়ে গেছে পরিবারটির। নিরুপায় হয়ে বসবাস করছেন মাছ ধরা নৌকার উপর। সেখানেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন ইয়াকুবের স্ত্রী মিনারা খাতুন। শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের বন্যতলা ভাঙন কবলিত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৎস্যজীবী ইয়াকুব আলী জানান, আমি নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। বন্যতলা এলাকায় বাঁধ ভেঙে সব নদীতে চলে গেছে। ১৫ দিন আগে ঘরবাড়িও চলে যায় নদীগর্ভে। তারপর সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে মাছ ধরা নৌকাটির উপর বসবাস করছি। স্ত্রী মিনারা খাতুন গর্ভবতী ছিল। যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারিনি। বুধবার রাতে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়েছে। মা-ছেলে দুইজনই সুস্থ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নদীর ভেঁড়িবাঁধ ভেঙে বাস্তুচ্যুত হয়ে গেছি। যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তারা অন্যত্র চলে যাচ্ছে। আমাদের যাওয়ার মত জায়গা নেই। কি করবো ?
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, নৌকার উপর সন্তানের জন্ম হচ্ছে তবে উপলব্ধি করুন মানুষ কতটা কষ্টে রয়েছে। বন্যতলা বেঁড়িবাঁধ ভেঙে পুরো এলাকা প্লাবিত। বন্যতলার ওই এলাকাটি প্রতাপনগর ইউনিয়ন ও শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা। লোকালয় দিয়েই জোয়ারভাটা খেলা করছে। বসতভিটা হারিয়েছে হাজারো মানুষ। বাধ্য হয়েই কেউ বেড়িবাঁধের উপর কেউবা নৌকায় বসবাস করছেন।