পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা মানসিক হাসপতালে শাহনাজ বেগম (৩৩) নামের এক রোগী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। সে জামালপুর জেলার সরিষা বাড়ী উপজেলার পিংনা পশ্চিমপাড়া গ্রামের লাল চান মিয়ার স্ত্রী।
পাবনা মানসিক হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২১ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা পশ্চিমপাড়া গ্রামের লালচান মিয়ার স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৩৩) মানসিক রোগ নিয়ে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার ভর্তি রেজি: নং ১৭৭৮/৩। তাকে ভর্তির পর ১৬ ওয়ার্ডের জেনারেল বেডে রাখা হয়। ভর্তির পরদিন ভোরে সে তার পরনের শাড়ী গলায় পেচিয়ে ওয়ার্ডের ভেন্ডিলেটরের শিকের সাথে বেধে আত্মহত্যা করে।
ওয়ার্ডে কর্মরত নার্স তানিয়া খাতুন জানান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩ টি বেড রয়েছে। শাহনাজ ৫নং বেডে ছিল। রাতে সব বেডে মশারি টানানো থাকায় অন্যন্য রোগীরে ঘুমের ফাকে নিজের শাড়ী গলায় বেধে আত্মহত্যা করে। টিউটি রুম থেকে তার বেড মশারির আড়ালে থাকার কারনে তাকে দেখা যায়নি। পড়ে রাউন্ড ভোর সময় দেখা যায় সে জানালা ধরে দাঁড়িয়ে আছে। কাছে গিয়ে তাকে বিছানায় সয়ন করাতে গেলে তার গলায় কাপড় পেচানো দেখে হাসপাতালের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করানো হয়।
হাসপাতালের পরিচালক আবুল বাশার মো আছাুদুজ্জামান জানান, আমার নার্সদের কাছ থেকে জানতে পেরে পাবনা সদর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। একই সাথে মৃতের স্বামীকে খবর দেয়া হয়। তারা এসে মরদেহ নিয়ে যাবে বলে হাসপাতালকে অবহিত করেছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।