বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : আগামী বছরের ৮ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ হজে বাংলাদেশীরা অংশ নিতে পারবেন। তবে কত সংখ্যক হজযাত্রী যেতে পারবেন তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। হজচুক্তি হওয়ার পরই সংখ্যা জানা যাবে। এ দিকে ওমরাহ পালনে সিনোফার্মার টিকা নিয়ে জটিলতা কেটেছে। এখন থেকে সিনোফার্মার টিকা গ্রহণকারীরা বুস্টারডোজ ছাড়াই ওমরাহ করতে পারবেন। গতকাল সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান এ তথ্য জানান।
করোনা মহামারীর কারণে গত দুই বছর বাংলাদেশ থেকে কোনো হজযাত্রী যেতে পারেননি। ২০২০ সালে শুধুমাত্র সৌদি আরবের ১০ হাজার নাগরিক এবং চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হজে সৌদি অবস্থানরত দেশী-বিদেশী মিলিয়ে মোট ৬০ হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ পবিত্র হজ সম্পন্ন করেন। প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করেও হজে যেতে না পারায় অনেকেই মনোকষ্টে আছেন। আগামী বছরের হজে তাদের মনোবাসনা পূরণ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর সৌদি আরবের বাইরের দেশ থেকে হজযাত্রীরা সৌদি আরব যেতে পারেননি। বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় পবিত্র ওমারহ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক ওমরাহ যাত্রী সৌদি সরকারের নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য শর্তাবলি পালন করে ওমরাহ পালন করছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করা যায়, সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী বছরের ৮ জুলাই (২০২২) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশী হজযাত্রীরা এ হজে অংশগ্রহণ করবেন। সৌদি-বাংলাদেশ হজচুক্তির পর বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে আগামী হজ সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে হজের অনেক কার্যক্রমের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও সংস্থাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজ নিজ কার্যক্রম সম্পন্ন করার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
এ দিকে সিনোফার্মা টিকা গ্রহণকারীদের যারা ওমরাহ পালনে যাওয়ার চেষ্টা করছেন এত দিন তারা যেতে পারেননি। তবে এ বাধা এখন থেকে আর থাকছে না। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন থেকে সিনোভ্যাক/ সিনোফার্মা টিকা গ্রহণকারী ওমরাহযাত্রীরা বুস্টারডোজ ছাড়াই ওমরাহ্ পালন করতে পারবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র হজ সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যাতে হজকার্যক্রমে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা অংশ নেন। বৈঠকে প্রাক-নিবন্ধনের বিদ্যমান অবস্থা, নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বিদ্যমান অবস্থা, হজ-প্যাকেজ, প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা, ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী ক্রয়, পাসপোর্ট, রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভ, বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ পালনের নিমিত্তে সৌদি আরবে গমনকারী ব্যক্তিগণকে বুস্টারডোজ প্রদান, হজযাত্রীদের জন্য টিকা ক্রয়, ইলেকট্রনিক হেলথ প্রোফাইল, হজের কার্যক্রম বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা, হজ এজেন্সি নবায়ন ও তালিকা প্রকাশসহ বিবিধ বিষয়ের করণীয় নির্ধারণ করা হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসানের সভাপতিত্বে বৈঠকে ধর্ম, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন, স্বাস্থ্য, তথ্য, সিভিল এভিয়েশন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, হজ অফিস, ঢাকা ও জেদ্দা, পাসপোর্ট, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), সোনালি ব্যাংক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (হাব) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।