বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথেই হাঁটছে সমবায় অধিদপ্তর। বঙ্গবন্ধু গ্রামভিত্তিক সমবায় (ভিলেজ কো-অপারেটিভ) গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটিই বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’ প্রতিষ্ঠার পাইলট প্রকল্পের কাজ চলছে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান আরও উন্নত হবে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমবায় ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের সমবায় ও ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের অভিযাত্রায় আগামী দিনের সমবায় ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে সমবায় অধিদপ্তর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. মশিউর রহমান বলেন, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে দেশের সমবায় পুরোপুরি খাপ খাওয়াতে পারেনি। তবে আমাদের সমবায়ের যে ঐতিহাসিক সাফল্য রয়েছে তাতে আশাবাদী হওয়া যায়। এটি আমাদের উদ্বুদ্ধ করে।
সমবায় বিভাগের সচিব আরও বলেন, আধুনিক ধারণা হচ্ছে সমস্যা থাকবে, সমাধান বের করতে হবে। সমস্যা নিয়েই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ড. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস। তিনি বলেন, এ উপমহাদেশে সমবায় শতবর্ষের বেশি সময় পার করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ভিত্তিক কৃষির উন্নয়নে যে আদর্শ রেখে গেছেন তার বিকল্প নেই। সমবায় নিয়ে তার চিন্তাচেতনা আধুনিক ব্যবস্থাপনার অংশ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক (প্রশাসন) মো. আহসান কবীর। মুখ্য আলোচক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের সাবেক উপাচার্য একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে কৃষিপণ্যের উপকরণ কৃষকদের ভর্তুকি মূল্যে প্রদান করা হতো। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র কৃষকের সংখ্যা অনেক বেশি। সরকারের পক্ষে এদের কোনো সুবিধা দেওয়া বা মনিটরিং করা কষ্টকর। কৃষিখাতকে সমবায়ের মধ্যে আনলে কৃষিপণ্যের উপকরণ বিতরণ করা সহজ হবে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২০৪১ এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পিছিয়ে পড়া মানুষের প্রধান অবলম্বন হতে পারে সমবায়। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে সমবায়ের দরকার। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল ও ইউএনডিপির জাতীয় পরামর্শক মো. আসুদুজ্জামান। এছাড়া মূল প্রবন্ধের ওপর বার্ড, বিআরডিবি, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং সমবায় সমিতির প্রতিনিধিরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।