বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : আশি’র দশকে রাজনৈতিক ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের বন্ধুত্ব ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সু-সংহত করার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬খ্রিঃ নিয়মতান্ত্রিক-ভাবে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে গঠিত কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির মেয়াদ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হওয়ায় এই পরিষদের গঠনতন্ত্রের ২১ ধারা {21.3 Functions of the Chief Advisor: (a)To act as the guardian of the Parishad Ges(e) To act as Chairperson of the Parishad when Central Executive Committee expires and a new Central Executive Committee is not elecred.} মতে আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী (প্রধান উপদেষ্টা)-কে কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির চেয়ারপার্সন-এর দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়।
অতঃপর আমি চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে (অসুস্থাজনিত কারণে) ঐতিহ্যবাহী এই পরিষদের যথাসময়ে পরবর্তী কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সদ্য-সাবেক (মেয়াদ-উত্তীর্ণ) কমিটির সদস্যবৃন্দের সাথে আলোচনাক্রমে কাউন্সিলের তারিখ ও স্থান নির্ধারণ-সহ আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকা প্রণয়নের জন্য ১২-০৫-২০১৮খ্রি. আমি একটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে দেই। কিন্তু উক্ত আহবায়ক কমিটির মেয়াদ-কালে (৩ মাস) অর্পিত দায়িত্ব পালনে (সম্মেলন আয়োজন) কমিটি-সদস্যগণ ব্যর্থ হওয়ায় ঐ(সম্মেলন প্রস্তুতি)কমিটি মেয়াদান্তে(১২-০৮-২০১৮খ্রি.) আপনা-আপনি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
এমতাবস্থায় বর্ণিত (সম্মেলন প্রস্তুতি) আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তির ৩ বছর ৪ মাস ৬ দিন পরে অত্র সংগঠনের বিধি লঙ্ঘন করত গোপনে ড. ফজলে আলী (এলাহী), সহকারী অধ্যাপিকা সাদিয়া শারমিন, মমতাজ হোসেন চৌধুরী গং গোপনে ১৮ ডিসেম্বর ২০২১খ্রি. কথিত বিশেষ সাধারণ সভার আয়োজন করে মর্মে জানতে পারি- যার ফলে গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা {7.3 Loss of Membership: A Member shall loss his membership if he- (d) is found to have worked or has been working contrary to the provisions of this Constitution or against the interest or goodwill of the Parishad … } মতে তাদের {সভা আয়োজনকারী ড. ফজলে আলী (এলাহী),সহকারী অধ্যাপিকা সাদিয়া শারমিন, মমতাজ হোসেন চৌধুরী গং} সদস্যপদ বাতিল হয়ে গেছে। তাই ১৮ ডিসেম্বর ২০২১খ্রিঃ থেকে তারা {ডঃ ফজলে আলী (এলাহী), সহকারী অধ্যাপিকা সাদিয়া শারমিন, মমতাজ হোসেন চৌধুরী গং} ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ’-এর সদস্যও নন!
সুতরাং তাদের {ড. ফজলে আলী (এলাহী), সহকারী অধ্যাপিকা সাদিয়া শারমিন, মমতাজ হোসেন চৌধুরী গং} সাথে ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ’-এর বিষয়ে কোন যোগাযোগ, লেনদেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম না করার জন্য অত্র প্রেস-রিলিজ এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট/আগ্রহী সকলকে অবগত/সতর্ক করা হলো। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি )
এডভোকেট এম. এ. বারী
প্রধান উপদেষ্টা : বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ।