বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রায় ৩১ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা আমরা করে রেখেছি। একটি মানুষও যেন টিকা ছাড়া না থাকে আমরা সে ব্যবস্থা করেছি। এক্ষেত্রে আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব, অপপ্রচারে কান না দিয়ে এবং গায়ে সুঁই ফোটানোর ভয়কে উপেক্ষা করে টিকা নিন। সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন থেকে বাঁচতে ভয় না পেয়ে টিকাটা নিয়ে নেবেন।
আজ (রোববার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। দেশের আট বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যা বিশিষ্ট সমন্বিত ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এই নতুন ধরন নাকি শিশুদের জন্য সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সেজন্য আমরা ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থাও নিয়েছি। তাছাড়া আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা ভয় না পেয়ে টিকাটা নিয়ে নিন। টিকাটা নিলে হয়তো কিছুদিন ভোগাবে কিন্তু জীবনটা রক্ষা পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা প্রায় ১৩ কোটির বেশি ডোজ টিকা প্রদান করেছি। এর মধ্যে ডাবল ডোজও হয়ে গেছে এবং এখন তো আমরা বুস্টার ডোজও দেওয়া শুরু করেছি। আমাদের দেশের মানুষ সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকুক সেটাই আমি চাই।
বক্তব্য শেষে ৮ বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৬০ শয্যা বিশিষ্ট সমন্বিত ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বিবদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক মো. ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম প্রমুখ।
এই আট হাসপাতালে সর্বমোট বেড সংখ্যা ৪ হাজার ৬৮০টি। এগুলো বাস্তবায়ন হলে শুধু চিকিৎসা সেবার মান পরিবর্তন হবে না, মানুষের জীবন রক্ষা পাবে এবং বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন তারা।