বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে বিশ্বের দেশে দেশে যখন অর্থনীতিতে ভাটার টান, তখন সময়োপযোগী কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনীতিকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মোবাইল ব্যাংকিং অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছে। দেশের আর্থিক খাতে ছোট-খাট ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলেও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ কাজ করছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। করোনা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ও দেশের ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের শস্য ও ফসল চাষে ঋণ প্রদানে গুরুত্বারোপ প্রশংসা কুড়িয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিয়েছে গ্রাম, দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায়। এছাড়া ক্রেডিট কার্ড, এটিএম বুথসহ দিনদিন ডিজিটাল লেনদেনের পরিমাণ বাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী স্বাভাবিক কর্মকান্ডে ছন্দপতন ঘটেছে। এ কারণে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ কারণে ব্যাংক নীতিমালার আওতায় থেকে ব্যাংক অনেক ছাড় দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সচল রাখার সুযোগ দিচ্ছে। কেননা এই সময়ে সুযোগ না দিলে তারা প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে পারবে না। সব দেশেই এটি দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার সেগুলো আদায় করে নেয়া হচ্ছে।
অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, করোনাকালেও ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের জয়জয়কার। কেনাকাটা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন যাবতীয় আর্থিক লেনদেন হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। সরকার অসহায় মানুষকে আর্থিক অনুদান দিচ্ছে এই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। করোনায় গরীব মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সাহায্যের টাকা পাচ্ছেন হাতে হাতে এবং ঘরে বসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। এছাড়া করোনাকালীন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখতে নীতি সহায়তায় বিশেষ ছাড়ের পাশাপাশি গ্রাহকভেদেও বড় ছাড় দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আওতায় ঋণের কিস্তি পরিশোধে বাড়তি সময়, প্রয়োজনের চেয়ে কম কিস্তি নিয়ে ঋণ নিয়মিত রাখা, বিভিন্ন নীতি সহায়তা একাধিকবার পাওয়া, এলসির পণ্য ও রফতানি আয় দেশে আনার বাড়তি সময় দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক সেবাদাতাদের মানবিক ব্যাংকিংয়ে উৎসাহিত করছে। সিএসআর নামে ব্যাংকিং খাতের অর্জিত মুনাফার একটি অংশ জনকল্যাণে ব্যয় করার কড়াকড়ি নিয়ম চালু করেছে। করোনার কারণে বিপর্যস্ত স্বাস্থ্যসেবা পুনরুদ্ধারে সম্প্রতি স্বাস্থ্যখাতে সিএসআর ব্যয়েও নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ঋণের শর্ত পুরোপুরি পরিপালনে ব্যর্থ হলেও বিশেষ ক্ষেত্রে ঋণ ছাড় করছে। ইতিমধ্যে স্টাইল ক্রাফট, এ্যাননটেক্স, অ্যাসোল ফেব্রিক্স, থার্মেক্স গ্রুপসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান এ সুযোগ পেয়েছে। এদিকে করোনার কারনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সরেজমিন পরিদর্শন কার্যক্রম ২০২০ ও ২০২১ সালে শিথিলতা আনা হয়। এ বছর খুব শিগগিরই এ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা আগামী মার্চের মধ্যে শেষ হবে।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল ইনকিলাবকে বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত এবং পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণে গুরুত্বারোপ এবং দেশের কৃষকদের কৃষি পুনঃঅর্থায়ন ঋণ বাস্তবায়নে চাপ প্রয়োগ ও সফলতা ভালো ব্যাংকিংয়ের নিদর্শন। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশংসার দাবীদার। তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় করপোরেট প্রণোদনা ঋণ বাস্তবায়নে অধিক গুরুত্ব দেয়ারও তাগিদ দেন পারভেজ তমাল।
সূত্র মতে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর গত এপ্রিলে কৃষি খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ তহবিল থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত ৪ হাজার ২৯৫ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া, করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর কৃষি খাতের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদের প্রণোদনার ঋণ চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার কৃষি খাতের জন্য আরও ৩ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তহবিল থেকে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের শস্য ও ফসল চাষের জন্য এককভাবে জামানত ছাড়াই ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। ঋণের সুদের হার আগের মতো ৪ শতাংশই থাকছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের এই তহবিলের অর্থও বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব উৎস থেকে সরবরাহ করবে। তহবিলের মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এছাড়া করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত এবং পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের দ্বিতীয় দফার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জন্য বরাদ্দকৃত ২০০ কোটি টাকা নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস আগেই বিতরণ করা হয়েছে। দুই দফায় মাত্র সাড়ে ৪ মাসে ৩০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় ১৯টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২ হাজার ১৮১ জন উদ্যোক্তার মধ্যে ২০০ কোটি টাকা বিতরণ করে এসএমই ফাউন্ডেশন।
এরই ধারাবাহিকতায় করোনা মহামারীতে বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত। বিশ্ব অর্থনীতি যখন টালমাটাল তখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা পাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অর্থনীতির সব খাতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ থেকে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। চলতি বছরের শেষ নাগাদ রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে পারব। দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে, কমেছে দারিদ্র্য। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার বেড়েছে। কভিডের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়, তার পরও বাংলাদেশ ভালো করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধামুক্ত উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করব।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, করোনাকালীন অর্থনৈতিক ক্ষতি যথাসম্ভব ক্ষতি কমিয়ে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ কৌশল নিয়েছে। সব শিল্প প্রতিষ্ঠান সচল থাকলে এবং যেসব প্রতিষ্ঠান চালুর অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলোকে দ্রুত চালু করা সম্ভব হলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে, তেমনি বাড়বে উৎপাদন। কর্মচ্যুত হওয়ার প্রবণতা কমবে। করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় দ্বিতীয় দফায় প্রণোদনা প্যাকেজগুলোতে অর্থ বরাদ্দ করে চালু রাখা হয়েছে। বৈদেশিক খাতের চারটি প্যাকেজের মেয়াদ আগামী জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর বাইরে গিয়ে গ্রাহকভেদে প্রয়োজন অনুসারে আরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে জাল-জালিয়াতি বা মানি লন্ড্রারিংয়ের মতো অপরাধ করলে ওই প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সাধারণত ঋণ ছাড়সহ অন্য কোনো সুবিধা দেয়া হয় না। কিন্তু করোনার কারণে এই নীতিমালাটিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিথিলভাবে প্রয়োগ করছে।
বেসরকারি খাতের স্টাইল ক্রাফট শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলেও তাদের ঋণ ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অ্যাসোল ফেব্রিক্সের নির্ধারিত কিস্তির চেয়ে কম ঋণ নিয়েও তা নিয়মিত রাখার সুযোগ দিয়েছে। এ্যাননটেক্সের ঋণের ক্ষেত্রে জাল-জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে প্রমাণিত হলেও ঋণ নবায়নের বিশেষ ছাড় দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এখনো শর্ত পালন করতে পারেনি। তবে কিছু ঋণ নবায়ন করে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঋণ জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত ক্রিসেন্ট গ্রুপ অন্য কোম্পানির নামে সুবিধা নিয়ে সীমিত পর্যায়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রেখেছে। ঋণ জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত বিসমিল্লাহ গ্রুপ খেলাপি ঋণ নবায়নের শর্তে নতুন ঋণ চেয়েছে। কিন্তু শর্ত পালন করতে না পারায় তাদের ঋণ নবায়ন হয়নি এখনো। তবে অন্য ব্যবস্থাপনায় তাদের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রয়েছে। জেকে এক্সেসরিজ নামের একটি নতুন প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের শর্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি বলে নতুন ঋণ ছাড় বন্ধ রাখা হয়। সম্প্রতি শর্ত সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানটি চালু করতে ছাড় দেয়া হয়েছে। কয়েকটি গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান রফতানির মূল্য দেশে আনতে না পারলেও তাদের নতুন ঋণ দিয়ে রফতানির সুযোগ দেয়া হয়েছে।
ছোট আকারের শতাধিক গার্মেন্টের ক্ষেত্রে নতুন ঋণে ছাড় দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রফতানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণেও বড় ছাড় এখনো দেয়া হচ্ছে। বিশেষ ছাড়ের পরও গ্রাহক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে আদায় করে নিচ্ছে। কিন্তু গ্রাহককে খেলাপি না করে নতুন ঋণের সুযোগ দিচ্ছে।
প্রচলিত নিয়মে প্রণোদনার ঋণ ও অন্যান্য ছাড় এক দফা ভোগ করছে দ্বিতীয় দফায় আর করা যাবে না। এ ক্ষেত্রেও ছাড় দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষ করে এলসির দেনা পরিশোধ করার পরও যেসব পণ্য দেশে আনা সম্ভব হয়নি সেগুলো দেশের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার আওতায় একাধিকবার ঋণ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। প্রণোদনার অর্থ যারা অপব্যবহার করেছেন সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ঋণকে শিল্পের কাজে ব্যবহারে বাধ্য করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, নির্ধারিত সময়ের পর পরিদর্শনের সময়ও যদি কোনো গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের তথ্য পাওয়া যায় তাকেও বিশেষ বিবেচনায় নেয়ার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। কারণ এখন কিস্তি দিতে না পারলে খেলাপি করা হলে প্রতিষ্ঠানটি সচল রাখা কঠিন হবে। এজন্য যথাসম্ভব খেলাপি না করার দিকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজর থাকবে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ব্যবসায়ীরা এখন বড় দুর্যোগের মধ্যে আছে। এ সময়ে সহায়তা না পেলে দাঁড়াতে পারবে না অনেকে। যে কারণে যারা ভালো ব্যবসা করে, অতীত রেকর্ড ভালো তাদের সব রকম সুবিধা দেয়া উচিত। তাহলে করোনার নেতিবাচক প্রভাব কম পড়বে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী গত ডিসেম্বরের মধ্যে কিস্তির ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলে খেলাপি করা হবে-এ মর্মে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। সেটি মৌলিকভাবে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত শিথিল করেছে। ওই সময়ে যারা ঋণ পরিশোধ করেছে তাদের লেনদেন গত ৩১ ডিসেম্বরের লেনদেন হিসাবে গণ্য করে খেলাপি করা হবে না। এরপরও যারা ঋণের কিস্তি জমা দিয়েছে তাদেরও শিথিলভাবে বিবেচনা করছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তবে প্রান্তিক কৃষক, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে এ নীতিমালায় আরও ছাড় দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ছোট উদ্যোক্তা ও কৃষকদের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে খেলাপি না করে তাদের ছোট ছোট ঋণ দেয়া হবে। কেননা করোনার এবারের সংক্রমণে এ খাতে যাতে কোনো বড় ক্ষতি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
উল্লেখ্য, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ও তারপর আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংককে এই উন্নয়নমুখী নীতি ও কর্মসূচিগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন আর্থিকখাত সংশ্লিষ্টরা।