বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : করোনার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পণ্য রফতানি আয়। গত ডিসেম্বরে রেকর্ড রফতানির পর সদ্যবিদায়ী জানুয়ারি মাসে পণ্য রফতানি হয়েছে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে জানুয়ারিতে রফতানি হয়েছে ৪৮৫ কোটি ডলারের পণ্য, যা গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে ৪১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায়, সামগ্রিকভাবে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে ২ হাজার ৯৫৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা দেশীয় মুদ্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি। এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে তা আলোচ্য সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৬ শতাংশ বেশি।
মূলত, পশ্চিমা অর্থনীতি করোনা মহামারির দুরবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে বিভিন্ন পণ্যের, বিশেষত পোশাক উপকরণের রফতানি বাড়ছে। ফলে প্রায় প্রতি মাসেই রফতানি আয়ের নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, তৈরি পোশাকের পাশাপাশি হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সামগ্রিকভাবে পণ্য রফতানি বেড়েছে। যদিও এই সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি কমেছে।
ইপিবি বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ২ হাজার ৩৯৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। এ আয় গত বছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে ১ হাজার ৩২৭ কোটি ডলারের নিট পোশাক রফতানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যদিকে ওভেন পোশাক রফতানি হয়েছে ১ হাজার ৭১ কোটি ডলারের। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
তৈরি পোশাকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রফতানি হয়েছে হোম টেক্সটাইল পণ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ৮৩ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল রফতানি হয়েছে। এ আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ রফতানি আয় হয়েছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রফতানি হয়েছে ৭৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।