মেহেদী হাসান আকন্দ: নেত্রকোণার কলমাকান্দা থেকে অপহরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত কলেজ ছাত্র উদ্ধার করেছে নেত্রকোণা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বুধবার রাত ১০ টায় কলমাকান্দা থানার ঘোনাপাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে অপহৃত কলেজ ছাত্র উদ্ধার করা হয়।
অপহৃত ঘটনায় উদ্ধার হওয়া যুবক কবির হোসেন (২০) নেত্রকোণা পৌর এলাকার পারলা গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। কবির হোসেন নেত্রকোণা সরকারি কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অপহরণের ঘটনায় উদ্ধারকৃত কলেজ ছাত্র কবির হোসেন বুধবার সকাল অনুমান ১০ টায় নেত্রকোণা থেকে ভাড়ার মোটর সাইকেলে কলমাকান্দা থানার ভারতীয় সিমান্তবর্তী পাঁচগাও এলাকায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল।
কবির হোসেন ভাড়ার মোটর সাইকেলে প্রথমে নেত্রকোণা থেকে কলমাকান্দা যায়। আবার কলমাকান্দা থেকে ভাড়ার মোটর সাইকেলে পাঁচগাও সিমান্তে বন্ধুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পাঁচগাও এলাকায় ৪/৫জন অজ্ঞাতনামা যুবক মোটর সাইকেলের পথরোধ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কবির হোসেনকে অপহরন করে। অপরহনকারীরা কবির হোসেনের কাছে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। অপহরনকারীরা কবির হোসেনের মোবাইল ফোন থেকে তার বারা রুস্তম আলীর নিকট মুক্তি পণ হিসাবে ৩লক্ষ টাকা দাবী করে। অন্যথায় কবির হোসেনকে হত্যা অথবা ভারতে পাচার করে দেয়ার হুমকী দেয়া হয়।
কবির হোসেনের বারা রুস্তম আলী এ বিষয়ে পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন। পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী তাৎক্ষণিক অপহৃত কলেজ ছাত্র কবির হোসেনকে উদ্ধারে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের চৌকশ এস আই ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল গোয়েন্দা পুলিশ কবির হোসেনকে উদ্ধারে মাঠে নামে। অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারে ডিবি’র চৌকশ টিম ব্যবহার করেন প্রযুক্তি ও বিভিন্ন ম্যানুয়াল পদ্ধতি। কবির হোসেনের বারা রুস্তম আলীকে দিয়ে অপহরনকারীদের সাথে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে অপহরনকারীদের বিকাশ নাম্বারে টাকা প্রদান করেন।
এরপর অপহরনকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাত অনুমান ১০ টায় অপহৃত কবির হোসেনকে উদ্ধার করেন পুলিশের চৌকশ এস আই ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ। অপহরনের ঘটনায় কাউকে আটক করা না গেলেও অপহরনকারীদের দ্রæত আটক এবং ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।