বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান ৫ কোটি ১২ লাখ খতিয়ান বা পর্চা ইতোমধ্যে অনলাইনে আপলোড হয়েছে। একই সঙ্গে শ্রেণি-বহির্ভূত ভূমি ব্যবহার রোধে ও ভূমি কর ফাঁকি উদঘাটনে ব্যবস্থাও চালু হয়েছে।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)-এর মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে ভূমি সচিব এই তথ্য জানান। ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন) প্রদীপ কুমার দাস এবং ডিপিডিসি’র কোম্পানি সচিব আসাদুজ্জামান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সমঝোতা স্মারকে জমির মালিক ও বিদ্যুৎ গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার ব্যাপারটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনও ব্যক্তির সকল বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনার ঠিকানাগুলোর তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয় জানতে পারবে সংশ্লিষ্ট ভূমিটি প্রকৃত অর্থে কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভূমির শ্রেণি ও এর প্রকৃত ব্যবহার যাচাই করে শ্রেণি বহির্ভূত অবৈধ ভূমি ব্যবহারের তথ্য ও ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকি উদঘাটন করা সহজ হবে। এতে সরকারের প্রকৃত ভূমি রাজস্ব আহরণ বহুলাংশে বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি কর্তৃক প্রদর্শিত জমির দলিল বা দাখিলকৃত জমির দলিলের অনুলিপির সঠিকতা যাচাই করার মাধ্যমে ডিপিডিসি ভূমির প্রকৃত মালিকের তথ্য যাচাই করতে পারবে। সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয় ও ডিপিডিসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।