বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ক্রেডিট কার্ড চালুর আগেই অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের কাছ থেকে মাশুল আদায় করছে। এসব মাশুল আদায় না হওয়ায় গ্রাহকদের খেলাপি হিসেবে গণ্য করছে। এ পরিস্থিতিতে কোনো কার্ড চালুর আগে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো ধরনের মাশুল আদায় না করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে এরই মধ্যে কার্ড চালুর আগে অনাদায়ী মাশুলের কারণে যাঁদের খেলাপি করা হয়েছে, তাদের ঋণের তথ্য নিয়মিত করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ক্রেডিট কার্ড ইস্যুর পর কার্ড সক্রিয় হওয়ার আগেই ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ধরনের মাশুল (বার্ষিক, সিআইবি, এসএমএস মাশুল) আরোপ এবং অনাদায়ে গ্রাহককে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করছে। এর ফলে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে এবং গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ক্রেডিট কার্ড সক্রিয় হওয়ার আগে গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো ধরনের নন-ট্রানজেকশনাল বা লেনদেনবহির্ভূত মাশুল আরোপ করা যাবে না। গ্রাহকের সম্মতি নিয়ে ক্রেডিট কার্ড সক্রিয় করার পর এ ধরনের মাশুল আরোপ করা যাবে। তবে সক্রিয় ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকের লেনদেনসংক্রান্ত (কেনাকাটা, নগদ উত্তোলন বা অন্য কোনো ধরনের মার্চেন্ট লেনদেন) কোনো দায় না থাকলে অপরিশোধিত বা বিলম্বে পরিশোধজনিত লেনদেনবহির্ভূত মাশুলের ওপর কোনো ধরনের বাড়তি জরিমানা আরোপ করা যাবে না।
এ ছাড়া লেনদেনবহির্ভূত মাশুলের ওপর কোনো অবস্থাতেই সুদ বা মুনাফা আরোপ করা যাবে না। এ ধরনের মাশুল অনাদায়ী থাকলে এর জন্য গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না। তবে ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকের লেনদেনসংক্রান্ত দায় যথাসময়ে পরিশোধ না হলে ঋণ শ্রেণিকরণ ও নিরাপত্তা সঞ্চিতিবিষয়ক নীতিমালা অনুসরণ করে গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে। ক্রেডিট কার্ডের বিল সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে আদায় হলে লেনদেনবহির্ভূত মাশুল সমন্বয়ের পর গ্রাহকের লেনদেনসংক্রান্ত দায় সমন্বয় করা যাবে।
এ ছাড়া নীতিমালা জারির আগে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনসংক্রান্ত দায় না থাকার পরও লেনদেনবহির্ভূত মাশুল শোধ না করার কারণে যাদের খেলাপি করা হয়েছে, তাদের শ্রেণি মান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ক্রেডিট কার্ডের সুদহার সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ক্রেডিট কার্ডের সুদ আরোপিত হবে ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর। বর্তমানে ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পর ৪৫ দিন পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়। পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডে ঋণসীমার ৫০ শতাংশের বেশি নগদ উত্তোলন করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। এরপরও ব্যাংকগুলো বিভিন্নভাবে গ্রাহকের কাছ থেকে মাশুল আদায় করছিল।