বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : প্রকাশকদের দাবি মেনে বইমেলার মেয়াদ ১৭ দিন বাড়ানো হয়েছে। সোমবারের (২৮ ফেব্রুয়ারি) পরিবর্তে এবারের বইমেলা শেষ হবে ১৭ মার্চ। ফলে এবার মেলা চলবে ৩১ দিন। যা বইমেলার ইতিহাসে দীর্ঘতম। এর আগে ২০১৯ সালের বইমেলা ৩০ দিনের হয়েছিল।
প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল এবার বইমেলা চলবে ১৪ দিন। ১৫ ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভব হলে মাসব্যাপী মেলা চালিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এর প্রতিফলন ঘটিয়ে ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেলা চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
মেলার সময় বাড়ানোর এ ঘোষণায় হাসি ফুটেছে প্রকাশকদের মুখে। তারা বলছেন, এবারের মেলা প্রথম দিন থেকেই জমজমাট। বই বিক্রির হারও ভালো। ১৭ দিন বাড়ানোর ফলে করোনার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, আমরা অবশ্যই খুশি। কারণ এবারের মেলা শুরু থেকে ভালো যাচ্ছে। মেলার সময় বাড়ানোর ফলে আমরা যেমন উপকৃত হব, তেমনি পাঠকও উপকৃত হবেন। ইত্যাদি প্রকাশনীর অন্যতম স্বত্বাধিকারী জহিরুল আবেদীন জুয়েল বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর ধরে আমরা খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছি। মেলা মাসব্যাপী হওয়ায় তা পূরণ করা সম্ভব হবে।
একই কথা বলেন অন্নেষা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, যেহেতু মেলা আরও ১৭ দিন চলবে, সামনের দিনগুলোতে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশাবাদী আমরা। এখন পাঠক আসছে, বই কিনছে। ফলে আমরা খুব সফল মেলা আশা করতে পারি।
মেলায় হুমায়ুন আজাদকে স্মরণ : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতেই লেখক হুমায়ুন আজাদ হত্যার বিচার দাবি করেছেন তার মেয়ে মৌলি আজাদসহ বিশিষ্টজনরা। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘হুমায়ুন আজাদ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।
আলোচনা সভায় হুমায়ুন আজাদের মেয়ে মৌলি আজাদ বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস মানেই বাবার বই প্রকাশ, বই নিয়ে আলোচনা ছিল। এটি ১৮ বছর ধরে এখানে নেই। আমি তার বিচার চাইতে অধীর হয়ে পড়েছি। আপনাদের কাছ থেকে আমি নতুন প্রেরণা পেয়েছি। এই সরকারের আমলেই আমি বাবা হত্যার বিচার চাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, হুমায়ুন আজাদ ছিলেন প্রথাবিরোধী ও প্রগতিশীল কবি। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, মানবিক মূল্যবোধের মানুষ। তিনি যেমন ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিতেন তেমনি ভিন্ন ভিন্ন মত গ্রহণ করতে পারতেন। হুমায়ুন আজাদ চলে গেলেও তার লেখা রয়ে গেছে। তা আমাদের অগ্রগতিতে, তরুণ প্রজন্মের মন গঠনে ভূমিকা রাখবে। হুমায়ুন আজাদের ওপর সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদীদের হামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, এটিএন বাংলার প্রধান সম্পাদক জ ই মামুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেখক-প্রকাশক ওসমান গণি।