নিজম্ব প্রতিনিধি : বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন আগামী রোববার। দীর্ঘদিন পরে অনুষ্ঠেয় এবারের নির্বাচনেই সর্বোচ্চ ছয়টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। ফলে ১৫ হাজার ক্যাডার সদস্যদের এই নির্বাচনের প্রচারণা তুঙ্গে রয়েছে। ভোটারদের মুখে মুখেও রয়েছে নির্বাচনের খবর। ইতিমধ্যেই একাধিক প্যানেল থেকে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে আজমতগীর-জাফর প্যানেল, শাহেদ-রেহানা প্যানেল, তৌফিক-মাসুদ রানা প্যানেল, সরফরাজ-বাশার প্যানেল, নোমানি-শওকত প্যানেল, লাল-সবুজ প্যানেল এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও রয়েছেন। তবে সরফরাজ-বাশার প্যানেলের বেশিরভাগ সদস্যের প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় তারা ভোটের মাঠে নেই।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ ও আরো বাস্তয়নসহ শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত ২৬ টি প্রত্যাশা পূরণের অঙ্গীকার করেছে খ প্যানেল যার সভাপতি পদে রয়েছেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর ও মহাসচিব হিসেবে রয়েছেন সৈয়দ জাফর আলী। অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক মহাসচিব, সহসভাপতিসহ একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
শিক্ষা ক্যাডারে একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তিনি অত্যন্ত পরিচিত মুখ। আর মহাসচিব প্রার্থী মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর আলী স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদেরও সদস্য সচিব। তিনিও ক্যাডারে অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ। যুগ্ম মহাসচিব প্রার্থী হয়েছেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার। যিনি দল-মত নির্বিশেষে শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের যে কারো প্রয়োজনে এগিয়ে যান বলে সুখ্যাতি আছে। এছাড়া বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ এবং সিনিয়র-জুনিয়ররাই আজমতগীর-জাফর প্যানেলের প্রার্থী। যাদের সমর্থন দিয়েছেন শিক্ষা ক্যাডারের সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক মাসুমে রাব্বানী খান এবং অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার।
অপরদিকে শাহেদ-রেহানা প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। যিনি সমিতির সাবেক মহাসচিব। গত কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণের সাড়ে তিন বছর পরও নির্বাচন না হওয়ার পেছনে তাকেই দায়ি করেন শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যরা। তারা মনে করছেন, দীর্ঘদিন সমিতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় দাবি-দাওয়া আদায়ে পিছিয়ে পড়েছেন শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যরা।
আমতগীর-জাফর প্যানেলের মহাসচিব প্রার্থী সৈয়দ জাফর আলী বলেন, ‘বিভিন্ন কলেজে আমাদের নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় অনেক প্রার্থী প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। যা নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন। তবে ভোটাররা সবাই সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারি, তারা যোগ্য ব্যক্তিকেই বেছে নেবেন। ইতিমধ্যে শিক্ষা ক্যাডারের সকল সদস্য তাদের মনে আমাদের জায়গা দিয়েছেন। আমরা যেখানেই যাচ্ছি, বিপুল সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি, আমাদের পূর্ণ প্যানেল বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। শিক্ষা ক্যাডারের দাবি আদায়ে আমরা সবসময় সদস্যদের পাশে থাকবো। ইতিমধ্যে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছি। ’ লাল-সবুজ প্যানেলের কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী চন্দ্র শেখর হালদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়েই আমাদের প্যানেল ঘোষনা করেছি। যেহেতু আমাদের প্রার্থী বেশিরভাগই নবীন তাই সভাপতি-মহাসচিবের মতো পদে আমরা প্রার্থী দেইনি। যেসব পদে আমরা প্রার্থী দিয়েছি সেখানে জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী। ’