বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালী। এক সময় এ জেলার অর্থনীতি কৃষি ও মৎস্যনির্ভর হলেও এখন দিন বদলেছে। বহুমুখী উন্নয়নে জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন আসবে। আর এতে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলবে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং পায়রা সেতুর মতো মেগা সব প্রকল্পগুলো। গত এক দশকে তিনটি বৃহৎ উন্নয়ন কর্মকান্ড পুরো জেলার চিত্র পাল্টে দিয়েছে। অথচ পটুয়াখালী জেলার নাম শুনলেই এক সময় ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কথা মনে পড়ত। তবে সেই পরিস্থিতির এখন আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। পটুয়াখালীর নাম শুনলেই সবার কাছে এখন পায়রা সমুদ্রবন্দর, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কিংবা দৃষ্টিনন্দন পায়রা (লেবুখালী) সেতুর দৃশ্য ফুটে উঠে।
দেশের সর্ববৃহৎ পায়রা তাপ বিদ্যুকেন্দ্রসহ সরকারের নেয়া একাধিক মেগা প্রকল্পের উন্নয়নের সাথে আগামী জুনে স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হবে। তখন যোগাযোগে বিপ্লব ঘটবে ঢাকা টু পটুয়াখালীর যোগাযোগ। একদিকে দক্ষিণাঞ্চলের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বরিশাল বিভাগের ব্যাপক উন্নয়ন, অন্যদিকে সারা দেশের সঙ্গে ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা চালু হবে সাগরকন্যা কুয়াকাটার সঙ্গে। কর্মচঞ্চল্য হবে গোটা বরিশাল বিভাগের প্রত্যন্ত এলাকা। পরিবর্তন আসবে কৃষিসহ নানান পেশায়।
জানতে চাইলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে প্রান্তিক অঞ্চলের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিকশিত হচ্ছে। জুনে পদ্মা সেতু চালু হবে। আর এটা হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের যোগাযোগব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আসবে। পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলে নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব এলাকায় নতুন নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বিদ্যুতায়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্পসহ সব খাতে বিপুল পরিবর্তন আসবে। এসবের মাধ্যমে বদলে যাবে অনগ্রসর এলাকার মানুষের জীবনযাত্রাও। একইসঙ্গে এ উদ্যোগ দেশজুড়ে সুষম উন্নয়নের পথ খুলে দিয়েছে।
সূত্রমতে, পটুয়াখালীর পায়রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করে শতভাগ বিদ্যুৎ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। এর মাধ্যমে শতভাগ বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বিশ্বের ১৩তম আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশে পরিণত হল ৫০ বছর বয়সি বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে কম জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ যেমন বেশি পাওয়া যাবে, পাশাপাশি পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখাও সম্ভব হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সময়ে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলবাসীর জন্য হঠাৎ করে সবকিছু যেন স্বপ্নের মতো। এখনো শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রয়োজন জ্বালানি। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। অর্থাৎ শিল্পায়নের আগেই বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। বর্তমান সরকারের হাতে নেয়া বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখে এরই মধ্যে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শত শত একর জমি ক্রয় করেছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাটারিচালিত গাড়ি, বিদ্যুৎ সহজলভ্য হওয়ায় ওই অঞ্চলের পর্যটন খাতও ব্যাপক বিস্তৃত হচ্ছে। এসব শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পায়রা বন্দর, পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন, দৃষ্টিনন্দন ফোর লেনের পায়রা সেতুর পাশাপাশি শেরে বাংলা নৌ-ঘাঁটি ও ইপিজেড স্থাপিত হলে পুরো দক্ষিণাঞ্চল পরিণত হবে অর্থনৈতিক জোনে। পায়রা সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা এবং ব্লু-ইকোনমি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য কলাপাড়ার লালুয়ায় শেরে বাংলা নৌ-ঘাঁটি স্থাপনে কাজ শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে একসময়ের অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের মহাসড়কে বাকি রইল শুধু রেলপথ ও গ্যাস। যদিও দক্ষিণাঞ্চলবাসী আশাবাদী দ্রুতই রেল ও গ্যাসের ব্যবস্থাও হবে। কারণ এসব মেগা প্রকল্পের নামকরণ এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকারে রয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পের তিনি নিজে যেমন ভিত্তিপ্রস্তর করেছেন, ঠিক তেমনি এগুলোর উদ্বোধনও করছেন নিজ হাতে।
সূত্রমতে, গত বছরের ২৪ অক্টোবর বরিশাল-পটুয়াখালী ও কুয়াকাটা মহাসড়কে লেবুখালীর পায়রা নদীর ওপর দৃষ্টিনন্দন ফোর লেন পায়রা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পায়রা সেতু চালুর ফলে মাওয়া থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ফেরিবিহীন যোগাযোগ শুরু হয়েছে। লেবুখালীর পায়রা সেতুর উত্তরপ্রান্তে স্থাপিত হয়েছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস। দক্ষিণপ্রান্তে দুমকীতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। মহাসড়কের পাশে রয়েছে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। পায়রা সেতু থেকে মহাসড়কের আশপাশের এলাকায় শিল্প-কলকারখানা স্থাপনে জমি কেনার হিড়িক চলছে দেশের বড় বড় শিল্পমালিকদের। শহরের পাশেই স্থাপিত হয়েছে কোস্টগার্ড সিজি বেইজ অগ্রযাত্রা ঘাঁটি।
পটুয়াখালী-কলাপাড়া মহাসড়ক থেকে পায়রাবন্দর পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার ফোর লেন সড়ক নির্মাণ, মহাসড়ক থেকে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত ছয় লেন মহাসড়কের কাজ এগিয়ে চলছে দ্রæতগতিতে। পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকায় ইপিজেড স্থাপনে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ‚মি জরিপ করে অধিগ্রহণের জন্য ৪ ধারায় নোটিশ দেয়া হয়েছে জমির মালিকদের। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কের দুইপাশে জমি ক্রয়ের পর সাইনবোর্ড বসিয়েছে বেশ কিছু কোম্পানি।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইপিজেড স্থাপনের জন্য পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পচাকোড়ালিয়া মৌজায় ৪১০ দশমিক ৭৮ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ৪ ধারায় নোটিশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের ক্লাবের (ইনভেস্টর ক্লাব) জন্য কুয়াকাটা মৌজায় ২ দশমিক ২৫ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পায়রা সেতু থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কের আশপাশে দেশের ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা জমি কিনতে শুরু করেছেন। মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে অটোরাইস মিল। এরই মধ্যে জমি ক্রয় করেছেন বহু শিল্পমালিক। পায়রাবন্দর এলাকার আশপাশে জমি ক্রয় করেছে মদিনা গ্রæপ ও এমএম বিল্ডার্স নামের প্রতিষ্ঠান। সাগরকন্যা কুয়াকাটায় এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে শতাধিক হোটেল-মোটেল। পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার খাজুরা, গঙ্গামতী, কাউয়ার চর ও এর আশপাশে জমি ক্রয় করেছেন সিকদার গ্রুপ, ইউএস বাংলা, সেঞ্চুরি, বসুধা, ওয়েস্টার্নসহ কমপক্ষে ১৫টি ভারি শিল্পমালিক। এসব স্থানে কোম্পানিগুলো নির্মাণ করবে, বিভিন্ন ধরনের শিল্প-কলকারখানা ও বহুতল ভবন। কুয়াকাটায় নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে ১৭ তলা ভবনের ওয়াচ টাওয়ার। মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় হবে আধুনিক পর্যটন এলাকা কুয়াকাটা। থাকবে এয়ারপোর্ট, স্টেডিয়ামসহ বহু স্থাপনা।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সেতুর পর এখন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার অপেক্ষায়। পদ্মা সেতু চালু হলে সারা দেশের পর্যটকরা পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পৌঁছতে পারবেন। ফলে মানুষ ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে কক্সবাজার না গিয়ে স্বল্প সময়ে কুয়াকাটায় আসতে উৎসাহিত হবেন। পর্যটন এলাকায় বিনিয়োগকারীরা তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন। ফলে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি হবে, তেমনি অন্যদিকে ব্যবসার প্রসার ঘটবে। সবমিলিয়ে দক্ষিণাঞ্চল হবে পর্যটনকেন্দ্রিক বড় জোন।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের পায়রা থেকে কুয়াকাটার বিস্তৃত এলাকা ঘিরে পর্যটনভিত্তিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান করতে যাচ্ছে সরকার। যার মনিটরিং করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। মাস্টারপ্ল্যানে থাকছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আধুনিক পর্যটন স্থাপনা, শিল্পভিত্তিক বন্দরনগরী, পরিকল্পিত নগরায়ন, যোগাযোগ, অর্থনীতি ও কৃষি খাতে উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগঝুঁকিসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাভিত্তিক কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০ বছরের মহাপরিকল্পনা নিয়ে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। যে সাত উপজেলা নিয়ে নগর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার সেসব উপজেলাগুলো হলো- পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, গলাচিপা, কলাপাড়া এবং বরগুনা সদর, তালতলী, আমতলী ও পাথরঘাটা।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন-উল-আহসান বলেন, এ প্রকল্পকে ঘিরে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড নানাভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশেই পায়রা বন্দরটি গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি এ অঞ্চলে আরো অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এসব প্রকল্প ঘিরে মানুষের ব্যস্ততা বেড়েছে। বিশেষ করে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বন্দরকে কেন্দ্র করে মানুষের জীবনমানের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। সামনে আরও পরিবর্তন আসবে। এরই মধ্যে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্প এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অঞ্চলে ব্যক্তি উদ্যোগকে কেন্দ্র করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। একইসঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও আসছে।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই’র সাবেক সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, এটা একটা মাইলফলক। যেটা প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন এই মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়া, সেই জায়গায় এই প্ল্যান্টটা যোগ হওয়ায় তা অনেকদূর এগিয়ে গেল। পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পায়ন হওয়ার ক্ষেত্রে যে বাধা সেই বাধা অনেকটা কেটে গেল। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে এখন অনেক বড় বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। মংলা বন্দরকে ব্যবহার করার পাশাপাশি আগামী জুন মাসে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে বহুমুখী যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি হবে। সামনে দক্ষিণাঞ্চলের জন্য অত্যন্ত সুদিন বলে উল্লেখ করেন তিনি। আগামীতে মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ার পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের ছোট-বড় শিল্প গড়ে উঠবে। এর মাধ্যমে এ এলাকায় বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপ্লব হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) আওতায় নির্মিত পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দক্ষিণাঞ্চলে সরকারের যে বিদ্যুৎ হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল, তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে একই সক্ষমতার আরো একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রও বাংলাদেশ ও চীন নির্মাণ করছে। যার কাজ এরই মধ্যে ২৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি ৬০০ মেগাওয়াটের একটি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।