বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, অনুসন্ধান ও তদন্তের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে আনার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সব করা হবে। কমিশনের কর্মকর্তাদের আরও সুবিধা দেওয়া হবে। এতে করে কর্মকর্তাদের মাঝে আরও উৎসাহ বাড়বে। এ ছাড়া সবাই ঘরে বসেই সব তথ্য পাবেন, সেই কাজ চলছে। নতুন একটি সফ্টওয়্যার তৈরি হচ্ছে। কমিশনের প্রতিদিনের কাজ, প্রতিদিন সবাই দেখতে পাবেন। এমনকি ঘরে বসে দেখতে পাবেন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। রোববার রাষ্ট্রপতির কাছে দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২০ ও ২০২১ উপস্থাপন করা হয়। সেই উপলক্ষ্যেই কমিশন এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, প্রতিবেদনটিতে বিভিন্ন পরিসংখ্যান, কর্মপরিকল্পনা, সফলতা, চ্যালেঞ্জসহ দুদকের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে বার্ষিক প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করেন মহাপরিচালক একেএম সোহেল। তিনি ১২৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ১৩টি অধ্যায়ে সংযুক্ত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন, উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফি উল্লাহ প্রমুখ।
ব্রিফিংয়ে একেএম সোহেল বলেন, ২০২১ সালে চার হাজার ৬১৪টি অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। এ সময় এক হাজার ৪৪টি অনুসন্ধান শেষে ৩৪৭টি মামলা করা হয়েছে। দুদকে তিন হাজার ৫৭০টি অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে ও তিন হাজার ৪৩৪টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ২০১৮ সালে দুদকের মামলায় সাজার হার ছিল ৬৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে ৬৩, ২০২০ সালে ৭২ এবং ২০২১ সালে সাজার হার ছিল প্রায় ৬০ শতাংশ। দুদক মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় প্রায় শতভাগ সাজা হয়েছে।
গত দুই বছরে এক হাজার ৩৫৫টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ ও ৬৯৫টি মামলা করেছে। একই সঙ্গে ১৪ কোটি টাকা জরিমানা ও ৫০৬ কোটি টাকা ক্রোক করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে চালু হওয়া এনফোর্সমেন্ট ইউনিট দুদক হটলাইনে (নম্বর-১০৬) প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। এই ইউনিট গত দুই বছরে সারা দেশে ৭৩২টি অভিযান পরিচালনা করেছে এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে এক হাজার ৪৫৪টি চিঠি পাঠিয়েছে। সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তিতে হয়রানি লাঘবে কমিশন ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছে। দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে ৫২০টি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে।