বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাগেরহাটের সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ মসজিদ ভ্রমণ করেছেন বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ ১৫ দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন আয়োজিত মুজিব ফ্যামিলাইজেশন ট্যুরের অংশ হিসেবে তারা বাগেরহাট ঘুরতে আসেন।
ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাটের অন্যতম নিদর্শন। সম্প্রতি প্রকাশিত জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা সাংস্কৃতিকভাবে উল্লেখযোগ্য বিশ্বের ২৫টি ঐতিহ্যের তালিকায় নাম এসেছে মসজিদের শহর বাগেরহাটের।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঐতিহ্য যদি রাস্তার (মহাসড়কের) কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়, অবশ্যই এই রাস্তা সরে যাবে। কিছুতেই এই ঐতিহাসিক স্থাপনা নষ্ট করতে দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘প্রয়োজনের হাইওয়ে অন্যদিক দিয়ে যাবে। কোনোভাবেই পুরাকীর্তি ও প্রত্নতত্ত্ব নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। বাগেরহাটের লোকজন অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। বিশ্ব ঐতিহ্যের বড় দুটি স্থানই পড়েছে বাগেরহাটে। একটি সুন্দরবন, অন্যটি ষাটগম্বুজ মসজিদসহ খানজাহানের অন্যান্য স্থাপনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আজ এখানে ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং দুটি সংস্থার প্রতিনিধি এসেছেন। তারা সবাই আমাদের দেশের এই প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। আমরা এই ঐতিহ্য সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে কাজ করছি।’ প্রতিনিধি দলে ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, ইতালি, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ করিয়া, ফিলিপিন, নেপাল, পাকিস্থানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও দুটি সংস্থার প্রতিনিধিরাসহ ৬০ জন অংশ নেন।
বাগেরহাটের মোংলা দিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ শেষে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বাগেরহাট জাদুঘর ঘুরে দেখেন। প্রতিনিধি দলে থাকা ঢাকায় কর্মরত নেপাল অ্যাম্বাসির কুমার রায় বলেন, ‘বাংলাদেশের ষাটগম্বুজ মসজিদের ঘুরতে এসে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এটার স্থাপত্য শৈলী অসাধারণ। আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছি। তবে এই মসজিদের স্বতন্ত্র স্থাপত্য শৈলী এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এটি আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ। আমি বিশ্বের সব পর্যটকদের অনুরোধ করব এই স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখার জন্য।’