বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের রফতানি খাত। গত কয়েক মাসে রেকর্ড পরিমাণ রফতানি আয়ের পর সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ডলার আয় হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি। গত বছর মার্চে ৩০৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার রফতানি আয় হয়েছিল।
সোমবার (৪ এপ্রিল) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে ৩ হাজার ৮৬০ কোটি ৫৬ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকার বেশি। এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।
ইপিবির পরিসংখ্যান বলছে, তৈরি পোশাক ও বিশেষত নিটওয়্যার পণ্য রফতানি বেড়েছে। এছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি, প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি ইতিবাচক ধারার কারণেই সার্বিকভাবে পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) পোশাক রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৪২ কোটি ৮৪ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের রফতানি পরিমাণের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে পণ্য রফতানি ছিল ২ হাজার ৩৪৮ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। অর্থবছরে মার্চ মাস শেষে নিটওয়্যার পণ্য রফতানিতে ৩৫.২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অপরদিকে ওভেন পোশাকের রফতানি ৩২.০৭ শতাংশ বেড়েছে।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে। প্লাস্টিক পণ্য রফতানিতে আয় বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। ৯ মাসে এ খাতে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি আয়েও প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এসময় চামড়াজাত খাত থেকে রফতানি আয় এসেছে ৬৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ শতাংশ ও আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। তবে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি কমেছে। মার্চ মাসের শেষে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ৮৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে আয় ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জন্য ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। গত ২০২০-২১ অর্থবছর পণ্য রফতানি করে ৩ হাজার ৮৭৬ কোটি ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।