মোঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর : বাংলাদেশের উত্তরে বৃহত্তর জেলা দিনাজপুরে তথা এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ গোড়-এ শহীদ ময়দানে করোনার কারনে টানা দুই বছর মুসল্লিরা ঈদের জামাত আদায় করতে পারেনি।
এটি এশিয়া উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। টানা দুই বছর পর এবার এই ঈদগাহে বসতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত। ঈদগাহে ১০ লক্ষ মানুষ এক সাথে ঈদের জামাত আদায় করতে পারে। এদিকে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করতে সবধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সংশ্লিষ্টরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৃহত্তম ঈদগাহর উদ্যোক্তা ও পরিকল্পনাকারী এবং জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য জনাব, ইকবালুর রহিম।
তিনি বলেন, এবারে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হবে। দুই একদিনের মধ্যেই আয়োজনের প্রস্তুতিসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা হবে। এই মাঠে প্রতিবারে প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ মানুষের সমাগম হয়, এবারও তাই হবে। ইতোমধ্যেই আধুনিক স্থাপত্যশৈলী সমৃদ্ধ ঈদগাহ মিনারকে নবসজ্জায় সাজানো হয়েছে, লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবারে ঈদের জামায়াতে ইমামতি করবেন মাওলানা শামসুল ইসলাম কাসেমী।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, গোড়-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ২০১৭ সালে নির্মিত ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মিনার তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এই ৫০ গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে ২টি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাবের (যেখানে ইমাম দাড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ ফিট। এর সাথে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ ফিট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই।
২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। প্রতি বছরের মত এবারও ঈদগাহ মাঠ জুড়ে নেয়া হচ্ছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি রাখা হচ্ছে।
মাঠের আশেপাশে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসারসহ সব ধরনের আইন-শৃপখলা বাহিনী মোতায়েন রাখার প্রস্তুতি রয়েছে। এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী বলেন, করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধির বিষয় বিবেচনায় নিয়ে গত দুইবছর দেশের বৃহৎ ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়নি। করোনা পরিস্থিতি অনেকাংশে স্বাভাবিক হয়েছে। দীর্ঘ সময় পরে ঈদগাহ মাঠে মুসল্লীরা যেন আনন্দের সাথে উৎসবমুখর পরিবেশে নামাজ আদায় করতে পারে সেজন্য পৌর প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। মাঠ সাজানো হবে। ওয়াচ টাওয়ার বসানো হবে।