ম.ম.রবি ডাকুয়া, বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোংলার সুন্দরবনে মাছ ধরার সময় বাঘের আক্রমন কামড় ও থাবা খেয়েও প্রাণে বেঁচে গেলেনেএক জেলে আবু সালেহ আকন (৪৫)। বাঘের আক্রমণে শরীরে ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সে।
এদিকে বাঘের আক্রমণের মুখ থেকে জীবন নিয়ে ফিরে আসা ওই জেলেকে দেখতে হাসপাতালে উৎসুক মানুষের ঢলে অনেকটা বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জেলে আবু সালেহ আকন ও প্রত্যক্ষদর্শী সঙ্গী মো. হানিফ বাঘের আক্রমণের শিকার হযে ফিরে বর্ণনা করেন, রোববার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে সুন্দরবনের জিউধরা এলাকার শুয়ারমারা খালে চরপাটা জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের দক্ষিণ বাজিকরখন্ড গ্রামের জেলে আবু সালেহ আকন ও মো. হানিফ ।
এসময় হঠাৎ সালেহের ওপর একটি বাঘ আক্রমণ করে। পিছন থেকে বাঘটি সালেহের ডান হাতে একটি কামড় ও বাম হাতে, বাম ঘাড়ে ও পিঠে ছয়টি থাবা দিয়ে এবং আঁচড়ে জখম করে। বাঘের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সালেহ খালে লাফিয়ে পড়ে চিৎকার শুরু করলে বাঘটি সেখান থেকে বনের গহীনে চলে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে থাকা সালেহের সঙ্গী হানিফ ও সালেহের চাচাতো ভাই আসাদুল সরদার তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল হোসেন স্বর্ণ জানান, সালেহের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সাতটি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় ইউপি মেম্বর (সংরক্ষিত) জানান, সালেহ একজন পেশাদার জেলে, তার বাবাও জেলে পেশায় নিয়জিত ছিলেন। বনবিভাগের কাছ থেকে পাস পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে চরপাটা জাল দিয়ে মাছ ধরতে গেলে বাঘের আক্রমণের শিকার হন সালেহ। খুব সাহসী হওয়ায় বাঘের সাথে ধস্তাধস্তি করে প্রাণে বেঁচে এসেছেন তিনি।এ ধরনের ঘটনা সুন্দরবনে অতি বিরল।