বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিপিসি জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে অকটেন ও পেট্রলের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। জ্বালানি তেলের কোনো সংকট নেই। দেশে গত ৭ ও ৮ মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেশের উত্তরাঞ্চলে পেট্রল ও অকটেনের সংকটের বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর বিপিসি এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
রবিবার (৮ মে) বিপিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিপিসি এর আওতাধীন তেল বিপণন কম্পানির মাধ্যমে সারাদেশে জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে দেশে অকটেন ও পেট্রলের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ৮ মে পর্যন্ত সারাদেশে অকটেন ও পেট্রলের মোট মজুদ যথাক্রমে প্রায় ১৯ হাজার ১৪৯ ও ১৯ হাজার ৩৯৬ মেট্রিক টন। দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মে ও জুন প্রতিমাসে ৫০ হাজার টন করে মোট প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন অকটেন আমদানির সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ৯ মে ২০২২ তারিখে এমটি ক্রিমসন জেট জাহাজযোগে প্রায় ২৭ হাজার টন অকটেন চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌছাবে। অপর একটি জাহাজ ২৫ হাজার মেট্রিক টন অকটেন নিয়ে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌছাবে।
অন্যদিকে ইস্টার্ন রিফাইনারি এবং জ্বালানি তেল উৎপাদকারী দেশীয় বেসরকারি প্ল্যান্টসমূহে অকটেন ও পেট্রল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। যা জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরহাকে আরো সুসংহত করবে। প্রসঙ্গত, দেশীয় উৎপাদন দ্বারা পেট্রল সম্পূর্ণ চাহিদা পুরণ করা হয়ে থাকে। দেশে অকটেন ও পেট্রলের স্বাভাবিক গড় মাসিক চাহিদা যথাক্রমে ৩৬ হাজার মেট্রিক টন এবং ৩৯ হাজার মেট্রিন টন। বর্তমান মজুদ আমদানি পরিকল্পনা এবং দেশীয় উৎপাদন দ্বারা এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, খুলনার দৌলতপুর হতে পার্বতীপুর ও চট্টগ্রাম হতে রংপুরে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। দেশে পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রী পরিবহনে প্রাধান্য দেওয়ায় ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে উক্ত ডিপোসমূহ অকটেন ও পেট্রল সরবরাহে নির্ধারিত সময়ের তুলনায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনের অনুকূলে অকটেন ও পেট্রল চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হচ্ছে। আশা করি আগামী দু-একদিনের মধ্যে সারা দেশে অকটেন ও পেট্রল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তা ছাড়া ডিজেলসহ অন্যান্য জ্বালানি তেলের মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে অকটেন বিক্রয় করছে মর্মে জানা যায়, যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে অসাধু কার্যক্রম গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।