পাবনায় ঐতিহাসিক হাদল গণহত্যা দিবস পালিত

পাবনা প্রতিনিধি: গণকবর ও বধ্যভূমিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি, শোক র‌্যালী ও দোয়ার মধ্য দিয়ে পাবনার হাদল গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার দুপরে ফরিদপুর উপজেলার হাদল এলাকায় গণকবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্মরণে ৭১ প্রজন্ম। পরে শহীদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্মরণে ৭১ প্রজন্মের সমন্বয়ক জাহিদ হাসান বাবু, তোফাজ্জল হোসেন মামুন, প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাইফুল ইসলাম সোহেল শহীদ পরিবারের সদস্য সুধীর কুমার সাহা।

২২ মে হিন্দু অধ্যুষিত হাদল গ্রামে ৪ শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশুকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করে। শত শত বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এ সময় বক্তারা হাদল গণহত্যায় শহীদদের পূর্ণাঙ্গ নামের তালিকা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানান। পাশাপাশি গণকবর সংরক্ষণ ও শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানান।

১৯৭১ সালের মে মাসে পাকিস্তনি সেনাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে পাবনা সদর, ঈশ্বরদী, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানের সহস্রাধিক মানুষ প্রত্যন্ত হাদল গ্রামে আশ্রয় নেয়। এ সময় গ্রামের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আবুল হাসান মৌলবী হানাদার বাহিনীকে খবর দেয়। পাকিস্তানী সেনারা গভীররাতে গ্রামে ঢুকেই ঘুমন্ত মানুষের উপর ব্রাশ ফায়ার করতে শুরু করে। এ সময় হিন্দুদের বাড়িতে লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করে রাজাকার আলবদর বাহিনী।

পাকিস্তানি সেনারা গ্রামে আশ্রয় নেয়া পাবনা রাধানগর মজুমদার একাডেমির শিক্ষক প্রাণকৃষ্ণ সাহা, অশোক সাহা, সুবল সাহা, অভিনয় শিল্পী পরেশ সাহা,রাখাল বসাক, প্রিয়নাথ হলদার, বিশ্বনাথ হলদার, কাশেম আলী, ছবেদ উল্লা, মজিদ মাঝিসহ ৪ শতাধিক নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করে।

পাবনায় ঐতিহাসিক হাদল গণহত্যা দিবস পালিতহাদল গণহত্যাহাদল গণহত্যা দিবস
Comments (0)
Add Comment