বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ভারত গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও প্রতিবেশী দেশের ক্ষেত্রে এ বিধিনিষেধ নয়- এমন খবরে সাত থেকে আটটি কোম্পানি বাংলাদেশে গম রপ্তানি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা ভারত থেকে কখনও গম নিইনি। শুধু যুদ্ধের কারণে ছয়টা টেন্ডার করা হয়েছে, প্রতি টেন্ডারে ৫০ হাজার টন করে এবং ৩ লাখ টন গম এলসি খোলা হয়েছে।”
এর মধ্যে ভারত থেকে দেড় লাখ টন গম বাংলাদেশে পৌঁছেছে। আর বাকি দেড় লাখ টন আসার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ১৩ মে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক শাখার এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- ভারত, প্রতিবেশী ও সঙ্কটে থাকা দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গম রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে যারা আমদানির জন্য অবাতিলযোগ্য ঋণপত্র (আইএলওসি) খুলেছে, তাদের পণ্য পেতে বাধা নেই। তাছাড়া ভিন দেশের সরকারের অনুরোধে ভারত সরকার সায় দিলেও গম রপ্তানি করা যাবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারতের ৭ থেকে ৮টি কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে, তারা যখন দেখলো যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জন্য গম রপ্তানিতে কোনো অসুবিধা নেই। এসব কোম্পানি বাংলাদেশকে ‘অফার লেটার’ দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এগুলো বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইন্ডিয়া দূতাবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
“অফার দেওয়া কোম্পানিগুলো গম রপ্তানি করার মত যোগ্য কি না, তা যাচাই-বাছাই করে এবং দাম নির্ধারণ করার পর গম আনব, যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে এবং দরদাম মিলে।” সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে (জিটুজি) বাংলাদেশ-ভারতের গম আমদানি-রপ্তানির সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে আর টেলিফোনেও কথা হয়েছে। ৩০ মে ভারতে একটি বৈঠক আছে, সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকবেন।”
এরইমধ্যে সোমবার রাশিয়া থেকেও গম দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ইউক্রেইনে অভিযান শুরুর কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞায় থাকা রাশিয়ার কাছ থেকে গম আনতে কোনো অসুবিধা হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সমস্যা দেখছেন না তিনি।