বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ডলার সংকট কাটাতে এবার প্রবাসী আয় সংগ্রহের ক্ষেত্রে দর চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকে রপ্তানি বিল নগদায়ন এবং আমদানিকারকদের কাছে বিক্রিও চূড়ান্ত করে দেয়া হবে। প্রতিদিনকার বাজার বিবেচনা করে ব্যাংকগুলো এই দাম নির্ধারণ করবে। এরপর থেকে সব ব্যাংককেই এই এক দাম নীতি মেনে চলতে হবে। দামের বিষয়টি পর্যালোচনা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কোনোভাবেই ডলারের দাম ৯০ টাকার বেশি হবে না।
বৃহস্পতিবার ডলারের সংকট কাটানোর অভিপ্রায়ে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে সভায় বসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকগুলো এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গভর্নর ফজলে কবির।
সভা শেষে আগামী রবিবার থেকে ডলার প্রতি দাম কত হবে, তা নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলো। ব্যাংকগুলোর প্রস্তাব অনুযায়ী, রপ্তানি বিল নগদায়নে ডলারের দাম হবে ৮৮ টাকা ৯৫ পয়সা দরে, প্রবাসী আয় আনা হবে ৮৯ টাকা ৮০ পয়সা দরে, আন্তঃব্যাংকে ডলার কেনাবেচা হবে ৮৯ টাকা ৮৫ পয়সা দরে ও আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করা হবে ৮৯ টাকা ৯৫ পয়সা হিসেবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, সংকট কাটাতে নিয়মিত ভিত্তিতে রিজার্ভ থেকে যে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকবে। রপ্তানিকারকদের নিজ ব্যাংকে ডলার নগদায়ন করতে হবে। বাফেদা ও এবিবি ডলারের এক দাম নির্ধারণ করে দেবে, যা সব ব্যাংক মেনে চলবে। এই দামেই প্রবাসী আয় আনতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত ডলারের দাম পর্যালোচনা করবে।
সভায় ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন, বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধানসহ দুই কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য না দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এ জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয়া হয়।
একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে প্রবাসী আয় কমে যেতে পারে।বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বৃহস্পতিবার প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা। তবে ব্যাংকগুলো ৯৫ টাকা দরে প্রবাসী আয় আনছে ও রপ্তানি বিল নগদায়ন করছে। এর চেয়ে বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। ফলে আমদানি পণ্যের দাম ইতোমধ্যে বেড়ে গেছে।