বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর বিপরীতে এখন পর্যন্ত (মে, ২০২২) টোল আদায়ের পরিমাণ ৭ হাজার ১৩৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের তুলনায় টোল থেকে ৩ হাজার ৩৯০ কোটি ১৫ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে। আর একই সময়ে মুক্তারপুর সেতুর টোল আদায় হয়েছে ১৮৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের এমপি বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
এর আগে ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সংসদ অধিবেশনে সরকারদলীয় এমপি মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর প্রথম বছরে টোল থেকে আদায় হয়েছিল ৯৯ লাখ টাকা। গত মে পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ৭ হাজার ১৩৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর সেতু নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। টোল আদায়ের অর্থ থেকে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়সহ সেতু কর্তৃপক্ষের অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের পর সেতু নির্বাহে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের ঋণ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। তবে, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো থেকে নেওয়া ঋণ সেতু থেকে আদায় করা টোলের মাধ্যমে ২০৩৪ সাল নাগাদ পরিশোধ করা শেষ হবে।
আজ সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট স্টাডি (ডিএইচইউটিএস) প্রতিবেদন (২০১০) মতে ঢাকার দুই সিটির অধিভুক্ত এরিয়াতে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ রাস্তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ঢাকা মহানগরীর চারপাশে বৃত্তাকার সুসমন্বিত মহাসড়ক ইনার রিং রোড নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে আবেদনপত্রের সঙ্গে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডোপ টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ হলে বা বিরূপ মন্তব্য থাকলে লাইসেন্স নবায়ন বা ইস্যু করা হচ্ছে না।