বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দেশের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে। কোনো এক অর্থবছরে পণ্য রপ্তানিতে এটি রেকর্ড পরিমাণ আয়। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা মিলিয়ে দেশের রপ্তানি আয় ছিল ৪৫ বিলিয়ন ডলার। সেই টার্গেট অতিক্রম করে শুধু পণ্য খাতেই রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চলতি অর্থবছর শেষ হতে আরও এক দিন বাকি আছে। এ কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে রপ্তানি আয়ের তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে পণ্য খাতে রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে।
সিনিয়র সচিব আরও বলেন, করোনা মহামারির পর ইউক্রেন যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে রপ্তানি আয় যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে সেটি একটি বড় অর্জন। তিনি বলেন, সরকার রপ্তানি বাড়াতে বিভিন্ন নীতি ও আর্থিক প্রণোদনা অব্যাহত রেখেছে। দেশের উদ্যোক্তারাও সেই সুযোগ গ্রহণ করে রপ্তানি আয় বাড়াতে সহায়তা করছেন। এ ছাড়া নতুন পণ্য নতুন বাজারে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক মিশনগুলোকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের টার্গেট ছিল। এর মধ্যে অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) দেশ থেকে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৪৭ বিলিয়ন (৪ হাজার ৭০০ কোটি) ডলারেরও বেশি মূল্যের। চলতি মাসের আয় যুক্ত হলে এটি ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যে জুন মাসের প্রথম ২৫ দিনে শুধু পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে। এই আয় হিসাবে ধরলেও দেশের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারের আয় ছাড়িয়ে যায়।
ইপিবির কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের গতিধারা বিশ্লেষণ করে আগামী অর্থবছরের জন্য একটি প্রাথমিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাতে রপ্তানি আয়ের টার্গেট ৬৫ বিলিয়ন হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে বলেও জানান ইপিবির কর্মকর্তারা।
বাণিজ্য সচিব বলেন, চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয় পণ্য ও সেবা মিলিয়ে ৫৮ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। এর ওপর ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরলে পণ্য ও সেবা খাতে রপ্তানির টার্গেট দাঁড়াবে ৬৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত টার্গেট ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।