বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : পর্তুগালে দ্বিতীয় জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৈশ্বিক সমুদ্র দূষণ প্রতিরোধ এবং সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় ৩০ জুন চতুর্থ দিনে প্লেনারি মূল আয়োজনে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের এবং সমুদ্র দূষণের কারণে সমুদ্র উপকূলবর্তী দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর একটি বড় প্রভাব বাংলাদেশের আবহাওয়ার ওপর পড়ছে। সমুদ্র সম্পদ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশের সমুদ্র সীমার অর্থনৈতিক জোনের ৮.৮% সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিবেশ এবং সমুদ্র সম্পদ রক্ষা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং সব সময়ই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
এক প্রতিক্রিয়ায় পর্তুগালে সংবাদমাধ্যমকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে- যদি সমুদ্রের পানির স্তর এক মিটার বাড়ে তাহলে আমাদের বাংলাদেশের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভূমি পানির নিচে চলে যাবে। কোটি কোটি লোক আবাসস্থল এবং আবাদি জমি হারাবে; যা একটি বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে। তাই তিনি বিশ্ব নেতাদের কাছে আহবান করেন এ বিষয়ে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। তা বাস্তবায়নের জন্য কারিগরি সহায়তা প্রদান করার জন্য তিনি বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনের প্রথম ভাগের অনুষ্ঠান শেষে পর্তুগালে অবস্থিত স্থায়ী শহিদ মিনারে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসানসহ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে শহিদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দিনের সফরে পর্তুগিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে দ্বীপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।