তরিৎ বর্মণ নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ সীমান্তে চিলাহাটি, ভারত সীমান্তে হলদিবাড়ি রেললাইনের নো মেনস্ ল্যান্ড অর্থাৎ দুই সংযোগস্থলের কাজ শেষ করে ৮ অক্টোবর, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ঃ০০ মিনিটে ভারতীয় রেলের কতৃপক্ষ একটি ইঞ্জিন নিয়ে বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার চিলাহাটি রেললাইনের অভিমুখে এসে তাদের ট্রায়াল(পরীক্ষামূলক যাত্রা) সম্পর্ণ করেন। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ে চিলাহাটি থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার এবং ২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপ লাইনসহ ৯ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হয়েছে বাংলাদেশ অংশে। অন্যদিকে, হলদিবাড়ি থেকে হলদিবাড়ি সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেলপথ ভারত অংশে।
এপার বাংলা-ওপার বাংলার তারকাটা বেড়ার ধারে শতশত উৎসুক মানুষজনের ঢল নামে কখন আসবে ট্রায়াল রানের ভারতীয় রেল ইঞ্জিন। সন্ধিক্ষণে সাক্ষী থাকতে সীমান্তে এলাকায় তাই দুই দেশের প্রচুর মানুষের ভিড়। কড়া পাহাড়ায় দাঁড়িয়ে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরাও।
ভারতের হলদিবাড়ি রেলস্টেশন থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত চিলাহাটির ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় হুইসেল বাজিয়ে ছুটে আসে ট্রায়াল রানের ভারতীয় রেল ইঞ্জিনটি। ৫৫ বছর পর বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি ট্রেন রুটকে পুনরুজ্জীবিত হয় ওই রেলপথ। ট্রায়াল রানের নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার জেপি শিং, ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ভিকেমিনা ও নির্বাহী প্রকৌশলী পিকেজে।
ভারতীয় রেল ইঞ্জিনটি নো-ম্যান্স ল্যান্ড অতিক্রম করে বাংলাদেশ সীমানা পর্যন্ত এসে দাঁড়িয়ে যায়।
এ সময় ভারতীয় প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনের প্রকৌশলী-২ প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহীম, নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথটিকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বান্ধব রেলপথ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই ট্রেন রুট ভারতের পাশাপাশি নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশের মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে মালামাল পরিবহন করতে পারবে। ফলে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও এই পথে আমদানি রপ্তানি করা যাবে। বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রতিনিধিরা জানান, চলতি মাসের আগামী ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ অংশের বিছানো রেললাইনে আমাদের রেল ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান অনুষ্ঠিত হবে।