বিশেষ প্রতিনিধি : নেত্রকোণার দুর্গাপুরে সেলিনা খাতুন (৩৭) নামের এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিন যুবকই ওই নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তিন যুবককে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার (২০ জুলাই)সন্ধ্যায় উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের তেলুঞ্জিয়া গ্রামের শিমুলতলি এলাকার একটি বালু-ব্যবসার ঘর থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
সেলিনা দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কাকড়াকান্দা গ্রামের এমদাদুল হকের স্ত্রী। তিনি দুর্গাপুর পৌরসভার শিবগঞ্জ এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
গ্রেফতারেরা হলো- দুর্গাপুরের দাখিনাইল গ্রামের হযরত আলীর ছেলে শাহআলম (২৮), একই গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে আলিম উদ্দিন (২৮) ও কাপাসাটিয়া গ্রামের হাবিবুল হকের ছেলে মাসুম মিয়া (২৫)।
সেলিনার পরিবার সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, সেলিনা খাতুন গত সোমবার বিকেলে বাবার বাড়িতে যাবার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। সেই থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বুধবার সন্ধ্যায় তেলুঞ্জিয়া গ্রামের শিমুলতলি এলাকার বালু শ্রমিকরা বালু-ব্যবসার একটি ঘর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে চৌকির ওপর একটি লাশ দেখতে পান। এ খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এদিকে সেলিনার স্বজনরা গিয়ে লাশটি সেলিনার বলে নিশ্চিত করেন। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে সেলিনার মা খোদেজা বেগম বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে দুর্গাপুর থানা পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শাহআলম, আলিম উদ্দিন ও মাসুম মিয়াকে গ্রেফতার করে।
দুর্গাপুর থানার এসআই মো. আনিস আহমেদ জানান, গ্রেফতার হওয়া তিন যুবক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল জানান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী এবং পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।