পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীকে শিকল দিয়ে বেঁধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ মামলার অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন জানান, পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের কদিমপাড়া বুড়া দেওয়ান নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসায় নূরানী বিভাগের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেনকে (১১) তিনদিন লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে নির্মম ভাবে শারীরিত ও মানসিক নির্যাতনের পর থুথু ছিটিয়ে পুনরায় চাটানো অভিযোগ পাওয়া যায়।
ওসি নাসির বলেন, এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থী মোবারক হোসেনের বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পিয়ারুল ইসলামকে আসামী করে শনিবার বিকেলে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ হেফাজতে থাকা শিক্ষক পিয়ারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রোববার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।উল্লেখ্য, জেলার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের বাচামারা গ্রামের নজরুল ইসলামের শিশু পুত্র মোবারক হোসেনকে পার্শবর্তী ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের কদিমপাড়া বুড়া দেওয়ান নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসার নূরানী বিভাগের ভর্তি করা হয়। মাদরাসায় ভর্তির পর মাঝে মধ্যে মারধর করা হয় তাকে। বেধরক মারপিটের ভয়ে মোবারক হোসেন মাদরাসা থেকে পালিয়ে খালার বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকে তার আত্মীয়স্বজনরা বুঝিয়ে আবার মাদরাসায় রেখে যায়। গেল বুধবার রাতে মোবারক হোসেনকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও করা হয়। এমন কি শিশুটিকে মাটিতে থুথু ফেলে সেই থুথু চাটানোও হয়েছে। গত শুক্রবার জুম্মা নামাজের সময়ে সুযোগ বুঝে মোবারক আবার পালিয়ে যাওয়ার সময়ে শিকল বাধা দেখে স্থানীয় মানুষ তাকে আটকিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে শিশু মোবারককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তার মা মুর্শিদা খাতুন থানায় এসে শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যান।