নিজস্ব প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন তুহিনের বিরুদ্ধে জমি ও রাস্তা দখলের প্রতিবাদে ফাঁসির দড়ি গলায় দিয়ে প্রতিকী আত্মহুতি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯) জুলাই সকালে জয়নগর ওয়াপদা গেটের সামনে (চরমিরকামারী) ভূক্তভোগী ও এলাকাবাসীরা এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
জানা যায়, চরমরিকারী গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদ প্রামানিকের ৭১ শতক জমিতে তার ওয়ারিশগণের বসতবাড়ি ও চাউল কল রয়েছে। এই সম্পত্তির ১০ ওয়ারিশের মধ্যে আব্দুর রশীদের দুই ওয়ারিশ জালাল উদ্দিন তুহিনের স্ত্রী আজমেরী সুলতানার নিকট প্রায় ০.৭২৫ শতক জমি বিক্রি করেন।
ভূক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ রাশেমসহ আরও ৫ জন জানান, গত ২৪ জুলাই জালাল উদ্দিন তুহিন ও তার স্ত্রী আজমেরী সুলতানার সন্ত্রাসী বাহিনী মিল ঘরের চলাচলের রাস্তা ও মিল ঘর ঘিরিয়া নেয় এবং মিলঘরের যন্ত্রপাতি লুটপাঠ করেছে। মিলের এই চলাচলের রাস্তা আইকে রোড সংযুক্ত এবং এই রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসী, মুসল্লী ও শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। শরিকানা সম্পত্তি ক্রয়ের বিরুদ্ধে আদালতে প্রিয়েমশন মামলাও রয়েছে। অভিযোগে আরও বলা হয় তুহিনের স্ত্রী যে সম্পত্তি ক্রয় করেছে সেই সম্পত্তিতে বসতবাড়ি উল্লেখ আছে। বসতবাড়ির সম্পত্তি দখল না করে রাস্তা ও চাউল কল ও বেদখল করায় আয়ের উৎস বন্ধ হওয়ায় আমরা মানবেতর জীবন-যাপন করছি।
লিখিত অভিযোগে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় ছাত্রদলের নেতা জালাল উদ্দিন তুহিন এবং বিএনপি’র সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তার ২য় ভাই রফিকুল ইসলাম মুকুল মাষ্টারের লোকজন আমাদের প্রতিনিয়ত জীবননাশের হুমকিও প্রদান করছে।
এঘটনায় ভূক্তভোগীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পাবনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ভূক্তভোগীরা এসময় ফাঁসির দড়ি গলায় পড়ে প্রতিকী ফাঁসির মাধ্যমে আত্মহুতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এসময় ভূক্তভোগীদের পক্ষে মোক্তার হোসেন, আক্তার হোসেন, শামীম হোসেন বাবু, সামছুল আলম সুমন, শহিদুল ইসলাম মিলনসহ পরিবারে নারী-পুরুষ ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে জালাল উদ্দিন তুহিন জানান, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার সম্মানহানির জন্য অভিযোগ করা হয়েছে। যে দাগে ০.৭২৫ শতক জমি কেনা হয়েছে সেই জমি ঘেরা হয়েছে। বসতবাড়ি কেনা প্রসংগে তিনি বলেন, বসতবাড়িতো আর ঘেরা করা যায় না। ওই দাগের ফাঁকা জমি ঘেরা হয়েছে। যাদের জমি কিনেছি, তারা আত্মীয়। টাকা দিলে জমি ফেরত দিব। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলে সংশ্লিষ্ঠতা প্রসংগে তিনি বলেন, ওরা কি কেউ দেখেছে। যারা ওই সময়ে ছাত্রলীগ করেছে, তারা জানে আমি কি রাজনীতি করেছি।