বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিএনপি সরকার আমলের দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিরোধীদের ওপর তাদের চালানো নৃশংসতার কাহিনি সবার কাছে তুলে ধরতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদেশিরা জানুক দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে অপপ্রচার চালানো বিএনপির এখন প্রধান কাজ।’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগসহ তার সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলোর বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছেন। তাঁরা বিএনপির অপতৎপরতা প্রতিরোধের সংকল্প ব্যক্ত করে ইতোমধ্যে ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার অবস্থানের হোটেল প্রাঙ্গণে র্যালি করেছেন। নেতা-কর্মীদের এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় থাকায় উন্নত দেশের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে একত্রে কাজ করে যাচ্ছি।’ নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর দল দেশে নির্বাচনের নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। এর ফলে জনগণ এখন স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে।
অন্যদিকে বিএনপি ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করে এবং ভোটের দিন সন্ত্রাস চালিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ধ্বংস করে ফেলেছিল। শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বিএনপি গত সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের বিপরীতে ৭০০ জনকে মনোনয়ন দিয়েছিল। তাদের আসন বাণিজ্যের কারণে জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সংক্ষিপ্তভাবে তাঁর সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি মাতৃভূমিতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। নিউইয়র্কে ইউএনজিএর ৭৭তম অধিবেশন ও উচ্চ পর্যায়ের অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী এখন ওয়াশিংটন ডিসিতে রয়েছেন। ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য ১৫ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লন্ডনে অবস্থান করার পর তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আসেন। প্রধানমন্ত্রী ৪ অক্টোবর বাংলাদেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।