বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশন রসাটমের অধীনস্থ রুসাটম হেলথ কেয়ার ডিভিশনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সাইন্টিফিক রিসার্চ ইন্সটিটিউট অফ টেকনিক্যাল ফিজিক্স এন্ড অটোমেশন (ঘওওঞঋঅ) সাভারের বর্তমান একটি গামা বিকিরণ কেন্দ্র প্রতিস্থাপন কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই কেন্দ্রটিতে খাদ্যদ্রব্য (মশলা, প্রানী খাদ্য) ও মেডিক্যাল সামগ্রীর ট্রিটমেন্ট করা হয়ে থাকে। প্রতিস্থাপনের পর ন্যুনতম ৪০০শঈর ক্ষমতাসম্পন্ন একটি উন্নত গামা রেডিয়েশন স্থাপনা পাওয়া যাবে।
কেন্দ্রটি প্রতিস্থাপনের জন্য রসাটম প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির নকশা প্রণয়ন, তৈরি, সরবরাহ, স্থাপন, স্থাপনকালীন তত্ত্ববধান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, এবং কমিশনিং-এর কাজ সম্পাদন করবে। ঘওওঞঋঅ ছাড়াও রুসাটম হেলথকেয়ার ডিভিশনের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এই কাজে যুক্ত হবে। উদাহরণস্বরুপ আইসোটপ জেএসসি কেন্দ্রটির জন্য ঈড়-৬০ (কোবাল্ট ৬০) আইসোটপ সরবরাহ করবে।
বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট অফ রেডিয়েশন এন্ড পলিমার টেকনোলজি (ওজচঞ) কর্তৃক আহবানকৃত আন্তর্জাতিক দরপত্রে বিজয়ী হবার পর রসাটমকে এই কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। রসাটম ছাড়াও এই দরপত্রে জার্মানী ও চীনা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। তুলনামূলক মূল্যায়ন বিবেচনায় রসাটমকে টেন্ডারে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। রসাটমের আঞ্চলিক কেন্দ্র রসাটম সাউথ এশিয়া দরপত্রে রুসাটম হেলথকেয়ার ডিভিশনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
রুসাটম হেলথকেয়ার ডিভিশনের প্রধান নির্বাহী ইগোর অব্রুবভ বলেন, “বাংলাদেশে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গামা বিকিরণের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তৈরিতে আমাদের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত কাজটি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে বিকিরণ প্রযুক্তি সরবরাহের ক্ষেত্রে রুসাটম হেলথকেয়ার এবং রসাটমের আন্তর্জাতিক সুনাম আরো বৃদ্ধি পাবে”।
রসাটম সাউথ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী আন্দ্রেই শেভলিয়াকভ তার বক্তব্যে জানান, “এতদিন পর্যন্ত রসাটম বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে নিয়োজিত ছিল। বিভিন্ন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রেও আমাদের সক্ষমতা ও দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। গামা বিকিরণ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের সরবরাহ শুধুমাত্র বাংলাদেশ রসাটমের প্রথম নন-এনার্জী প্রকল্পই নয় বরং একই সঙ্গে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে”।
গামা রেডিয়েশন ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্যের সেলফ-লাইফ কয়েক গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সমভব। এটিই একমাত্র প্রযুক্তি, যা খাদ্যদ্রব্যের বিশুদ্ধতা ১০-৬ পর্যন্ত অর্জন করা সম্ভব। ক্ষতিকারক মাইক্রো অর্গানিজমের রাসায়নিক বন্ড ভেঙ্গে দেয় গামা বিকিরণ এবং কোন রেসিডিও থাকে না। এই স্টেরিলাইজেশন প্রক্রিয়ায় স্পোর আকারে উপস্থিত রোগ সৃষ্টিকারী মাইক্রো অর্গানিজমসহ অন্যান্য নন-প্যাথোজেনিকের মৃত্যু ঘটে। গামা রশ্মির ভেদন ক্ষমতার জন্য প্যাকেজজাত অবস্থায় খাদ্যদ্রব্যের ট্রিটমেন্ট করা সম্ভব। এর অন্য একটি সুবিধা হলো ট্রিটমেন্টের পরপরই খাদ্যদ্রব্য ব্যবহার করা যেতে পারে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ঋঅঙ এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজেন্সী ওঅঊঅ এই পদ্ধতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এসকল কারনে আয়োনাইজিং রেডিয়েশন ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী ঈড়ষফ ঝঃবৎরষরুধঃরড়হ এর ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।