বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : দূরপালস্নার যাত্রীবাহী বাসে ফেসবুক ও টিকটকারদের ভিডিও ধারণ বন্ধে ১৬টি বাস কোম্পানিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট ও জজকোর্টের ৯ আইনজীবী। শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ১৬ দূরপালস্নার পরিবহণের পরিচালক বা মালিকদের আমরা লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিটি পরিবহণের চালকদের প্রতি গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা ও সচেতনতামূলক নোটিশ ইসু্যর জন্য অনুরোধ করেছি। অন্যথায় ভবিষ্যতে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার জন্য দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যেসব পরিবহণকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে- হানিফ পরিবহণ, শ্যামলী এন আর ট্রাভেলার্স, গ্রিন লাইন পরিবহণ, এস আর ট্রাভেলস, এনা ট্রান্সপোর্ট, নাবিল পরিবহণ, বাবলু এন্টারপ্রাইজ, সোহাগ পরিবহণ, সেন্টমার্টিন পরিবহণ, সৌদিয়া পরিবহণ, ইউনিক সার্ভিস, গোল্ডেন লাইন পরিবহণ, দেশ ট্রাভেলস, টি আর ট্রাভেলস, সাকুরা পরিবহণ ও ইমাদ এন্টারপ্রাইজ।
নোটিশ পাঠানো আইনজীবীরা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাবিরুল হক কাজল, মো. মেহেদী হাসান, মো. হুমায়ুন কবির সরকার, আদলু সাইন, মুশফিকুর রহমান সেতু, আবু তাহের রনি, ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রাশিদুল ইসলাম রাশদে, মো. ওবায়দুলস্নাহ কাজী ও মো. মলিন হোসনে।
নোটিশে বলা হয়ে, ঢাকা থেকে দূরপালস্নার যাত্রীবাহী বাসগুলোর কিছু চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে বিভিন্ন সময় অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় অনেক যাত্রী পঙ্গু ও নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে পরিবহণগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। গাড়ি চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর পেছনে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সময় উৎসাহিত করে চলছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, ওই স্বার্থান্বেষী মহল ফেসবুক ও টিকটক ছাড়াও অন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে চ্যানেল খুলে দ্রম্নত গতিতে গাড়ি চালাতে চালককে উৎসাহ দিয়ে ভিডিও ধারণ করেন। সেগুলো পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে তারা অর্থ উপার্জন করেন। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা বাস চালকদের মধ্যে এক অসুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করে চলেছেন। তারা চালকের পাশে বসে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো, ওভারটেকিং, বারবার হর্ন বাজানো, বাউলি, ডিপার লাইট দেওয়াসহ উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করেছেন। যা সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮-সহ প্রচলিত আইনবিরোধী।
দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও বাস পরিবহণগুলোর ক্ষয়ক্ষতি রোধে তিনটি মতামত দিয়েছেন আইনজীবীরা। সেগুলো হলো-১.গাড়ির গতিসীমা সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় রাখার জন্য প্রতিটি বাসে ডিজিটাল স্পিড মিটার বা অ্যাপ বসানো। ২. চালকের পাশে ইঞ্জিন কভারের ওপর বসে কোনো যাত্রী বা ফেসবুক ও টিকটকার যেন ভিডিও করতে না পারে এজন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা। ৩. যাত্রীদের জীবন, মাল ও সম্পদের নিরাপত্তার স্বার্থে টিকিট ও নির্দিষ্ট কাউন্টার ব্যতীত যাত্রী ওঠানামা নিষিদ্ধ করা।