বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। রবিবার (৯ অক্টোবর) সকালে তিস্তা ব্যারেজ ও কমান্ড এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত আলোর মুখ দেখবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যারেজ এলাকার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সবদিক দিয়ে উত্তর অঞ্চলের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, অর্থনীতি, প্রকৃতি ও পরিবেশ যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে।’
লি জিমিং বলেন, ‘তিস্তা একটি বৃহৎ নদী। এটি খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন আসবে। যদিও এ প্রকল্প বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের– এরপরও এটি করা হবে।’ যেহেতু তিস্তা আন্তর্জাতিক নদী সে কারণে লাভ ও ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
এ সময় লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন বলেন, ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় এ প্রকল্প আলোর মুখ দেখছে। চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংকে দেখে মনে হলো তার মনোভাব পজিটিভ। আশা করি, আমরা দ্রুত সুখবর পাবো।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন– পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর অঞ্চলের প্রধান আনোয়ারুল হক ভুঁইয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদৌলা প্রিন্স ও ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
জানা গেছে, তিস্তাকে ঘিরে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির আদলে নীলফামারীর ডিমলা ডালিয়ায় তিস্তার দুই পাড়ে পরিকল্পিত স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলার কথা ভাবা হচ্ছে। নদী খনন ও শাসন, ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক সেচ ব্যবস্থা, মাছ চাষ প্রকল্প ও পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্পকে ঘিরে ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে।