পাবনা প্রতিনিধি : রণেশ মৈত্র সারাজীবন দেশ ও জনগনের কল্যাণে কাজ করেছেন। রাজনৈতিক দল ও চিন্তা-চেতনায় আমাদের সাথে কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকলেও দেশ ও জনগনের কল্যানের প্রশ্নে তিনি আমাদের সাথে এক কাতারে দাঁড়িয়ে যেতেন। সাংবাদিকতায় তিনি কখনো নীতির প্রশ্নে আপোষ করেন নি। আমরা তাঁর জনকল্যানমূলক গুণাবলী ধারণ করে দেশের জন্য কাজ করে গেলে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে।
২০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মো: শামসুল হক টুকু পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে একুশে পদক ও বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যায়ার্ড প্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রণেশ মৈত্রের এর প্রয়ােণে রেড ভলেন্টিয়ার্স, পাবনার উদ্যোগে আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শোকসভায় স্মৃতিচারণ করেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পাকন বক্তব্য রাখেন।
ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে ডেপুটি স্পীকার বলেন, রণেশ মৈত্রের সাথে আমি জেল খেটেছি, মিছিল করেছি। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাতির পিতাকে নিয়ে কথা বলার সুযোগ ছিলো না। এ অবস্থায় আন্দোলনের যতটুকু সুযোগ পেয়েছি, রণেশ মৈত্র ভিন্ন দলের হলেও আমাদের সাথে মিছিল করেছেন, পুলিশের নির্যাতন সহ্য করেছেন।
কর্মের মাধ্যমে রণেশ মৈত্রকে স্মরণীয় করে রাখার প্রসঙ্গে মো: শামসুল হক টুকু বলেন, রণেশ মৈত্র ছিলেন জাতির কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ। তিনি কখনো নীতিভ্রষ্ট হননি,মুক্তি-আন্দোলনের সকল পর্যায়ে লেখনীর মাধ্যমে, রাজনীতির মাধ্যমে দেশের জন্য ভূমিকা রেখে গিয়েছেন। বর্তমান সময়ের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকদের তাঁর মানবকল্যাণের গূনাবলী অনুসরণ করা উচিৎ।
রণেশ মৈত্রের জীবনী পাঠ করেন আখিনুর ইসলাম রিমন এবং শোকসভার শুরুতে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সুলতান মাহমুদের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবি ইসলাম, জাকির হোসেন, তমিজ উদ্দিন, আব্দুল জব্বারসহ সাংবাদিক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শোকসভায় রণেশ মৈত্রের স্মৃতিচারণ করেন । শোকসভায় পাবনা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।