নভেম্বরের শুরুতে রাজধানীর গণপরিবহনে চালু হওয়া ই-টিকিটিংয়ে বেশকিছু পরিবর্তন আসছে। এই ব্যবস্থা চালুর পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়ায় বাস মালিক ও শ্রমিকদের বৈঠকে গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত এসেছে। ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চার্ট অনুযায়ী ই-টিকিটের ভাড়া নিশ্চিত করা, গাড়িতে টিকিট দেয়া ও স্টপেজ ছাড়া বাস থামানো বন্ধ করার মতো বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, ই-টিকিটিং নিয়ে বাস মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বৈঠক করেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা। এতে ঢাকার চারটি অঞ্চলের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন পরিবহনের চেয়ারম্যান ও এমডি এবং সাধারণ বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন তারা।
ই-টিকিটিং নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বৈঠকে। সেগুলো হলো- আগামী ১ নভেম্বর থেকে বিআরটিএ’র চার্ট অনুযায়ী ই-টিকিটের ভাড়া নিশ্চিত করা, স্টপেজের বদলে প্রতিটি গাড়িতে টিকিট দেয়ার জন্য পজ মেশিন থাকা, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে টিকিট কাটার পজ মেশিনের প্রোগ্রামিং পরিবর্তন করে গন্তব্য শুরু ও শেষ হওয়ার ভিত্তিতে ভাড়া কাটার ব্যবস্থা করা, স্টপেজ ছাড়া মাঝপথে বাস থামানো এবং যাত্রী তোলা নিষিদ্ধ করা এবং ১১ নভেম্বর আরও ১৬টি গাড়িকে এর আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, বৈঠকে ই-টিকিটিংয়ের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যে আটটি পরিবহনে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে, সেগুলোর বাস সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে তোপের মুখে পড়েন সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিকদের প্রতিনিধিরা। এ সময় তারা জানান, ই-টিকিটিংয়ে লাভ কম হওয়ায় বাস বসিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকরা। অনেক যাত্রী টিকিট না নিয়ে ভ্রমণ করছেন, সেই ভাড়া ড্রাইভার-শ্রমিকরা মেরে দিচ্ছেন। ফলে অনেক বাস মালিক দিনে নির্ধারিত টাকা পাচ্ছেন না। এজন্য এখন থেকে গাড়িতেই ই-টিকিট দেয়া হবে। এতে যাত্রীদেরও সময় বাঁচবে।
সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী মাহবুবুর রহমান বলেন, ই-টিকিটিংকে কাঙ্খিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। সেখানে এর নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে শিগগিরই। এর ফলে সেবার মান আরও বাড়বে, যাত্রীরাও উপকৃত হবেন।