বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই দিনের বেলায় গ্যাস না থাকার অভিযোগ। অনেক এলাকায় গ্যাস থাকলেও চাপ এতই কম যে রান্না করাই দুরূহ। এই অবস্থায় গ্যাসের ভোগান্তি কিছুটা কমাতে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির (জিটিসিএল) সঞ্চালন লাইন পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তিতাস।
গ্যাস লাইন পরিষ্কারের কারণে আগামী সাতদিন (৬ থেকে ১২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ অংশের আংশিক এলাকা, জিঞ্জিরা, কেরানীগঞ্জ, মেঘনাঘাট, সোনারগাঁও, হরিপুর, নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লা এবং মুন্সীগঞ্জ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্ন ঘটতে পারে অথবা স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে তিতাস।
তিতাস বলছে, এই পাইপলাইনের কাজের পর ক্লিন গ্যাস পাবে গ্রাহকরা, গ্যাসের চাপও বাড়বে।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পাইপলাইনটি দিয়ে গ্যাসের সঙ্গে ময়লা আসছিল। এটি পরিষ্কার করা জরুরি ছিল। এক সপ্তাহ কিছুটা সমস্যা হলে পরবর্তীতে শিল্প ও আবাসিক গ্রাহকরা ক্লিন গ্যাস পাবেন। পাশাপাশি কিছু এলাকায় গ্যাসের চাপ বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু এলাকায় এখন যে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না তার প্রধান কারণ আমাদের জ্বালানি সংকট। তিতাসের অধীন এলাকায় যে পরিমাণ চাহিদা তার চেয়ে কম গ্যাস পাচ্ছি আমরা। সুতরাং কিছু কিছু এলাকায় চাপ কম থাকছে।
তিতাস জানায়, আগামী ৬ নভেম্বর রবিবার হতে ১২ নভেম্বর শনিবার পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহে সমস্যা হতে পারে।
এমনিতে এসব এলাকায় গ্যাস ঘাটতির কারণে চুলা জ্বলে না। তার ওপর সাত দিনের এই ঘোষণায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গৃহিণীরা
জিঞ্জিরা থেকে আবুল খায়ের জানান, এমনিতেই দিনের বেলা গ্যাসের চুলা জ্বলে খুব টিমটিম করে। এই অবস্থায় আরও যদি সমস্যার কথা বলে তাহলে তো রান্না করাটাই সমস্যা হয়ে যাবে। কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা রুমানা করিম জানান, দিনের বেলা গ্যাসের চাপ কম থাকে। তাই ভোরে উঠেই রান্নার কাজ সেরে ফেলি। এরপর আবার রাতে গ্যাস এলে রান্না করি। এরমধ্যে যদি আরও গ্যাসের সমস্যা হয় তাহলে ভোর বা রাতেও যদি গ্যাস না পাই তখন কী হবে?
নারায়ণগঞ্জের সেবিকা রানি জানান, গ্যাসের সমস্যার সঙ্গে আমরা মানিয়ে নিয়েছিলাম। নিয়ম করেই গ্যাস চলে যায়। আমরা হয় এর আগেই রান্নার কাজ শেষ করি। তা না করতে পারলে এলপিজি সিলিন্ডার কিনে রেখেছি তাতে কাজ সেরে নেই। এই অবস্থায় সাত দিন যদি আরও গ্যাস না পাওয়া যায় তাহলে তো বিপদেই পড়তে হবে।